রাজবাড়ীতে জমজমাট ১০ দিনব্যাপী ‘নলিয়ার মেলা’

দর্শনার্থী কৈলাশ সাহা বলেন, ১০ দিনব্যাপী চলবে এ মেলা। মেলায় তিলা, কদমা, নিমকি, শখের মিঠাই, চানাচুর, খই, বাতাসা ও হরেক রকম খাবারের ঘ্রাণে মনটা ভরে যায়। পুতুল, নাগরদোলা, ঘূর্ণি, বেলুন নিয়ে মেতে ওঠা নানা বয়সী শিশু কিশোরদের আনন্দ আর হই হুল্লোড় দেখতে খুব ভালো লাগে। মেলায় পরিবারের সবাইকে নিয়ে চটপটি ফুচকা খেলাম।

শিক্ষার্থী নিলীমা দাস বলেন, বন্ধুরা মিলে মেলায় এসেছি। অনেক আনন্দ করে কেনাকাটা করছি। ভালো লাগছে।

গণেষ মিত্র (৭৫) বলেন, জ্ঞান হওয়ার পর থেকে মেলা দেখে আসছি। কিন্তু তারও আগে দাদা এবং বাবার কাছে এই মেলার কথা শুনেছি। সনাতন ধর্মাবলম্বীসহ বর্তমানে সব ধর্মের মানুষের মিলন মেলা এখানে।

মেলায় আসা বাঁশ বেতের তৈরি পণ্যের বিক্রেতা পরিতোষ কুমার দাস বলেন, আমরা দুই যুগের বেশি সময় এখানে মেলা করি। মেলায় এক সময় বাঁশ-বেতের তৈরি ২০ থেকে ৩০টি দোকান বসত। বর্তমানে ৭টি দোকান বসেছে। প্লাটিকের কারণে আমাদের শিল্পটা ধ্বংসের পথে। এরপরও আমরা মেলায় ৩০ ধরণের জিনিসপত্র এনেছি। সবই গৃহস্থালির। আশা করছি এবার ভালো বিক্রি হবে।

শ্রী শ্রী হারিঠাকুর অঙ্গনের সেবাইত গোপাল ঠাকুর বলেন, করোনার পরে বড় পরিসরে এবারই প্রথম মেলা বসছে। সকাল থেকে হাজার হাজার ভক্তের সমাগম হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে ৩২ প্রহরব্যাপী মহানামযজ্ঞানুষ্ঠান শুরু হয়েছে। রোববার থেকে মেলা শুরু হয়েছে। ১০দিন এই মেলা চলবে।

বালিয়াকান্দি উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের পুলিশের বিট অফিসার মো. টিটুল হুসাইন জানান, আমার বিটের মধ্যে ঐতিহ্যবাহী নলিয়ার মেলা শুরু হয়েছে। মেলার সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করছি। সত্যিকার অর্থেই এটি গ্রামীণ একটি মেলা।

প্রতিনিধি/এসএস