শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

শঙ্কামুক্ত হয়নি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত সেই জাবি শিক্ষার্থী

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০১:৪৬ পিএম

শেয়ার করুন:

শঙ্কামুক্ত হয়নি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত সেই জাবি শিক্ষার্থী
ছবি : ঢাকা মেইল

এখনও শঙ্কামুক্ত হয়নি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়নর বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী জাহিদ হাসান। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তাকে আইসিইউ থেকে বেডে স্থানান্তর করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেরুয়াগামী সড়কের মওলানা ভাসানী হল সংলগ্ন স্থানে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হয় জাহিদ। তাকে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। 


বিজ্ঞাপন


হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আনিস বলেন, তার মাথায় গুরুতর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মাথার একটি হাড় ভেঙে গেছে। এখন আমরা তাকে পর্যবেক্ষণে রেখেছি। শঙ্কামুক্ত নয় সে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর পড়ুন
জাবিতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত শিক্ষার্থী লাইফ সাপোর্টে

সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের সভাপতি রাকিব আহমেদ বলেন, অনেক স্বপ্ন নিয়ে একজন শিক্ষার্থী মেধার প্রমাণ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। ক্যাম্পাসে আসার দুদিনের মাথায় তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া এমন দুর্ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে বেপারোয়া গতিতে গাড়ি চালানো নিয়ে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন। আমরা চাই, এই দুর্ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হোক। গাড়ির লাইসেন্স ও ড্রাইভিং লাইসেন্সের মতো বিষয়গুলো যাচাই করে প্রচলিত আইনে যেন সঠিক বিচার হয় তার জোর দাবি জানাচ্ছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, দুর্ঘটনায় আহত ছেলেটির ব্যাপারে খোঁজখবর রাখছি। আমরা দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখব। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আহ্বান করব, মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রিত গতিতে এবং সাবধানের সঙ্গে চালাতে। যাতে করে একজন শিক্ষার্থী আরেকজনের বিপদের কারণ না হই।


বিজ্ঞাপন


এদিকে রাত সাড়ে ১২টার দিকে ক্যাম্পাসের সড়কে শৃঙ্খলা এবং নিরাপত্তার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলমের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ করছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। 

পরে রাত ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিয়ে বলেন, আহত শিক্ষার্থীর সকল চিকিৎসার দায়ভার বিশ্ববিদ্যালয় গ্রহণ করবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যমান আইনে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে আমরা চালকের বিচার নিশ্চিত করব। বাইক, অটোরিকশার গতি নিয়ন্ত্রণে আমি নিরাপত্তা কর্মীদের নির্দেশ করব। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করে স্পিড ব্রেকার নির্মাণ করা হবে। এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে সকলের সহযোগিতা কাম্য। 

প্রতিনিধি/ এইচই

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর