বরগুনায় আলুর খেত পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষকরা

বরগুনার প্রান্তিক কৃষকরা তীব্র শীতকে উপেক্ষা করে সকাল থেকেই ফসলের মাঠে অক্লান্ত পরিশ্রম করে অধিক লাভের আশায় আলুর ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। চলতি বছর জেলার পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিরা ইউনিয়নের জালিয়াঘাটা, শিংড়াবুনিয়া এবং কালমেঘা ইউনিয়নের রূপদোন, কূপদোন এলাকায় আশানুরূপ আলুর চাষ বেশি হয়েছে।

উপজেলার প্রতিটি মাঠ জুড়ে এখন আলু গাছের সবুজ পাতার রঙের চোখ ধাঁধালো বর্ণিল সমারোহ। ভোরের বিন্দু-বিন্দু শিশির আর সকালের মিষ্টি রোদ ছুঁয়ে যায় সেই সবুজ পাতাগুলোকে। অপরূপ প্রকৃতির দৃশ্য সত্যিই যেন মনোমুগ্ধকর।

বিগত বছরে সফলতার ধারাবাহিকতায় এবারও উপকূলীয় এলাকা পাথরঘাটার চাষিরা আলু আবাদে ঝুঁকে পড়েছেন। মৌসুমের শুরু থেকেই আবহাওয়া আলু আবাদের উপযোগী থাকায় কৃষাণ-কৃষাণীর মুখে হাসির ঝিলিক দেখা যাচ্ছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, এ মৌসুমে জেলায় আলু চাষে ৯শ ২০ হেক্টর জমিতে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ বছরে লক্ষ্যমাত্রায় ৮শ ৯০ হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে পাথরঘাটায় ৫শ ২০ হেক্টর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ৫শ ৩০ হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ করেছেন বলে জানা যায় জেলার কৃষি অফিস সূত্রে।

জেলার পাথরঘাটা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কৃষকরা আলুখেতে কীটনাশক, সার প্রয়োগ এবং আগাছা পরিস্কারে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কোনো কৃষক ঘরে বসে নেই। প্রতিদিন সকাল হলেই খেতে বিভিন্ন পরিচর্যার কাজে ব্যস্ত থাকেন তারা। এ অঞ্চলে আলু চাষে কৃষকরা লাভবান হওয়ায় আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের মাঝে। তাই গত বছরের চেয়ে চলতি মৌসুমে ব্যাপক হারে চাষিরা আলুর চাষ করেছেন।

জানা যায়, জেলার পাথরঘাটা অঞ্চলের কৃষকরা প্রতি বছরেই আগাম আলু চাষ করে লাভবান হচ্ছেন। তবে কৃষকরা বলছেন হিমাগার না থাকার কারণে মাঝে মাঝে দাম কম পাচ্ছেন তারা।