৫ ফেব্রুয়ারি আশ্রিত রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তে শূন্যরেখার ক্যাম্প থেকে পালিয়ে বাংলাদেশের ভূ-খণ্ডে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সরানোর প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হয়েছে। কক্সবাজার, বান্দরবান জেলা প্রশাসন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থার প্রতিনিধিসহ সরকারের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত কমিটি এ কাজ করছেন।

আগামী রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) তাদের সরিয়ে নেওয়া হবে বলে তথ্যটি কক্সবাজারস্থ শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে। 

ওই কার্যালয় থেকে জানানো হয়, সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সমন্বয়ে পরিচালিত সর্বশেষ পরিসংখ্যানে সংঘাতের পর তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আশপাশে তাবু টাঙিয়ে মোট ২ হাজার ৯শ ৭০ জন রোহিঙ্গা অবস্থান নেওয়ার তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। যেখানে বর্তমানে ৫শ ৫৮টি পরিবার পাওয়া গেছে। গণনা পরিচালনাকালে ২ হাজার ৯শ ৭০ জন রোহিঙ্গার মধ্যে ২ হাজারের মতো রোহিঙ্গা উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পে নিবন্ধিত রয়েছেন। ৮ শতাধিক রোহিঙ্গার কোনো নিবন্ধনের তথ্য পাওয়া যায়নি।

কক্সবাজারস্থ শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, শূন্যরেখার ক্যাম্প থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের গণনা চূড়ান্ত করা হয়েছে। বুধবার পর্যন্ত ওখানে ৫শ ৫৮টি পরিবারের ২ হাজার ৯শ ৭০ জন রোহিঙ্গা নিশ্চিত হওয়া গেছে। ওখানে আশ্রয়রত মোট রোহিঙ্গার দুই-তৃতীয়াংশ বিভিন্ন ক্যাম্পে নিবন্ধিত। শুধু মাত্র এক-তৃতীয়াংশের নিবন্ধন পাওয়া যায়নি।

তিনি জানান, এদের আগামী রবিবার সকাল থেকে সরানোর প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। শুরুতেই বিভিন্ন ক্যাম্পে নিবন্ধিতদের পাঠানো হবে। আর অনিবন্ধিতদের কুতুপালং রেহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন ট্রানজিট ক্যাম্পে রাখা হবে।

সংশ্লিষ্টদের দেওয়া তথ্যে জানা গেছে, ওখানে নিবন্ধিত বা অনিবন্ধিত বেশ কিছু রোহিঙ্গা অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকায় মামলা রয়েছে। এদের শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কাজ করছেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।