শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

কাঠ ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে কোপাল ৩ ভাই

জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২৯ জানুয়ারি ২০২৩, ১২:০৮ এএম

শেয়ার করুন:

কাঠ ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে কোপাল ৩ ভাই

লক্ষ্মীপুর সদরে প্রকাশ্যে গাছ ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন সোহাগকে (২৮) কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী তিন ভাই ইসমাইল হোসেন, আব্দুর রব ও আমির হোসেনের বিরুদ্ধে।

শনিবার (২৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যা জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সোহাগ ও তার স্বজনরা এ হামলার তথ্য নিশ্চিত করেন।


বিজ্ঞাপন


একই হাসপাতালে হামলাকারীদের ৫ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

দুপুরে তেওয়ারিগঞ্জ ইউনিয়নের (৮নং ওয়ার্ড) চরমনসা গ্রামে এ হামলার শিকার হন ব্যবসায়ী সোহাগ।

সোহাগকে বাঁচতে গিয়ে হামলার শিকার হন মুসলিম নামে আরেক ব্যক্তি। হামলাকারী ওমর ফারুক ঘটনার পর থেকে পলাতক।

খবর পেয়ে সদর মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং আহতদের উদ্ধার করে হাসাপাতালে পাঠান।


বিজ্ঞাপন


৩ ভাই ছাড়াও তাদের ভগ্নীপতি মো. হাফিজ উল্লাহ (৫০) ও সাবেক ইউপি সদস্য তোফায়েল আহম্মেদ (৫৫) সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাজী আহম্মেদ উল্লাহ দরবেশ ও একই এলাকার নুর মোহাম্মদের সঙ্গে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। বিরোধ লাগা জমির মাটি ইট ভাটার মালিক মোক্তার হোসেন বিপ্লবের কাছে বিক্রি করেন আহম্মেদ উল্লাহর ছেলে ওমর ফারুক। ওই জমি থেকে মাটি কাটার সময় নুর মোহাম্মদ গংরা বাদা দেয়। একপর্যায়ে সেখানে তর্কবিতর্ক হয়। পরে উভয়পক্ষ লোকজন সেখান থেকে চলে যায়।

পরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নুর মোহাম্মদের ছেলে সোহাগ বাড়ি থেকে স্থানীয় মোল্লার হাটে যাওয়ার পথে, হামলাকারী ওমর ফারুক, ইসমাইল হোসেন, আব্দুর রব ও আমির হোসেন এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। কোপানোর দৃশ্য দেখে সোহাগকে বাঁচতে এগিয়ে আসেন মুসলিম। তিনিও হামলাকারীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হন।

আহত মুসলিম বলেন, দীর্ঘদিনের জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। হামলাকারীরা আজ সোহাগকে এক পেয়ে হামলা করে। তাকে বাঁচতে গিয়ে সে নিজেও হামলার শিকার হন।

ভুক্তভোগী সোহাগের বাবা নুর মোহাম্মদ জানান, সকালে জমি থেকে মাটি কাটাকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটি হয়। পরে বিপ্লব মিয়া বলছে এ নিয়ে পরে বৈঠক হবে। এতে উভয়পক্ষ ঘটনাস্থল থেকে চলে যান। সাড়ে ১১টার দিকে তার ছেলে সোহাগ বাড়ি থেকে দোকানে যাওয়ার পথে হামলাকারীরা তাকে একা পেয়ে হামলা করেন। প্রতিপক্ষের লোকজন হাসপাতালে ভর্তি এ বিষয়ে জানতে চাইলে নুর মোহাম্মদ জানান, ৫জন একসঙ্গে হয়ে সোহাগকে কোপানো দৃশ্য দেখে স্থানীয়রা তাদের বাধা দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে সবাইকে উদ্ধার করে।

অভিযুক্ত ওমর ফারুকের ভাই ইসমাইল হোসেন চিকিৎসাধীন অবস্থায় জানান, সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছে নুর মিয়া ও নুর মোহাম্মদের সঙ্গে। তারা আজ দুপুরে আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা করে। আমিসহ ৫ জন আহত হই। এখন আমরা সবাই হাসপাতালে ভর্তি।

লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের লোকজন মারামারি করে। পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়। এক পক্ষ লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রতিনিধি/এসএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর