শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

কীর্তনখোলা নদীর মধ্যে জেটি নির্মাণ ও অনিয়ম দেখে মেয়রের ক্ষোভ

জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২৪ জানুয়ারি ২০২৩, ১০:৩৫ পিএম

শেয়ার করুন:

কীর্তনখোলা নদীর মধ্যে জেটি নির্মাণ ও অনিয়ম দেখে মেয়রের ক্ষোভ

বরিশাল নগরীর ত্রিশ গোডাউন বদ্ধভূমি সংলগ্ন নদীর পাড়ে খাদ্য সংরক্ষণাগার সাইলোর জেটি নির্মানে অনিয়ম দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বরিশাল সিটি করপোরেশন মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। তিনি জেটি নির্মাণ প্রকল্পের এলাকা ঘুরে দেখে কাজের অনিয়ম দুর্নীতিকে পুকুর চুরি নয় এখানে সাগর চুরি হয়েছে বলে জানান মেয়র।

এছাড়া নদীর মধ্যে পিলার স্থাপন করে জেটি নির্মাণ করা দেখেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। মেয়র বলেন, জেটি নির্মাণের জন্য তাদের অনুমতি দেয়া হয়েছে ঠিকই, কিন্তু তার মানে এই নয় যে তারা নদীর মধ্যে পিলার স্থাপন করে জেটি নির্মাণ করবে। এতে নদীর পানি প্রবাহ ব্যহত হবে। এ বিষয়টি সংশোধনের জন্য তাদের চিঠি দেয়া হবে।


বিজ্ঞাপন


সোমবার (২৩ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে নগরীর ত্রিশ গোডাউন বদ্ধভূমি সংলগ্ন নদীর পাড়ে খাদ্য সংরক্ষণাগর সাইলোর জেটি নির্মাণ প্রকল্পের এলাকা ঘুরে এসব কথা বলেন। 

তিনি বলেন, জেটি নির্মাণের জন্য তারা অনুমতি চেয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে যে নদী থেকে জাহাজে মালামাল এসে জেটি থেকে সোজা সাইলোতে চলে যাবে। তাই তাদের অনুমতি দেয়া হয়েছে। কিন্তু তারা নদীর মধ্যে জেটি নির্মাণ করবে তা কোন ভাবেই মানা যাবে না। এটা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে জানানো হবে।

মেয়র আরো বলেন, জেটি নির্মাণে যে কাজ করা হয়েছে তাতেও ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতি করা হয়েছে। তা কোন ভাবেই মানা যাবে না। আমি বিষয়টি মন্ত্রী মহোদয়কে জানাবো। কারণ এটি দেখভাল করার দায়িত্ব আমাকে দিয়ে গেছেন। তারা জেটির জন্য যে পাইল তৈরি করেছে তাতে স্পষ্ট অনিয়ম করার বিষয়টি উঠে এসেছে। একেকটি ৪২ ফুটের পাইলে নিচের ৩২ ফুট (যা মাটির নিচে থাকবে) ৮টি করে রড ব্যবহার করেছে, এছাড়া উপরের ১০ ফুট দেখার জন্য ১৬ টি করে রড দিয়ে তৈরি করেছে। যা অনেক বড় ধরনের দূর্নীতি। এটা কোন ভাবেই হতে দেয়া যাবে না।

এদিকে নদীর মধ্যে জেটি নির্মাণ দেখেও ক্ষোভ প্রকাশ করে মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ বলেন, এ বিষয়ে তাদেরকে চিঠি দেয়া হবে। এভাবে জেটি নির্মাণ করলে নদীর এ অংশ মাটি জমে ভরাট হয়ে যাবে। ফলে কীর্তনখোলা নদীর পানি প্রবাহে বিঘ্ন সৃষ্টি হবে। 


বিজ্ঞাপন


মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সাইলোর জেটি নির্মাণের জন্য কীর্তনখোলা নদীর বেড়ি বাঁধ থেকে প্রায় এক শ' ফুট নদীর মধ্যে প্রায় ১৫২ টি পিলার বসানো হয়েছে। যা কীর্তনখোলা নদীর জন্য হুমকি স্বরূপ। এতে ক্রমেই নদী ভরাট হয়ে যাওয়ার কথা বলেন সচেতন মহল।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জেটি নির্মাণ প্রকল্পের কেউ কথা বলতে রাজি হননি। তবে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) বরিশাল এর যুগ্ম পরিচালক ও নদী বন্দর কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক ঢাকা মেইলকে বলেন, সাইলো নির্মাণের জন্য তারা আমাদের চিঠি দিয়েছে। তাদের চিঠি এবং কাগজপত্র সবকিছু ঠিকঠাক দেখেছি। তারা ঢাকা থেকে কাজের অনুমতি নিয়েছে। তবে নদীর মধ্যে পিলার স্থাপন করে জেটি নির্মাণ কীর্তনখোলার জন্য হুমকি স্বরূপ।

প্রতিনিধি/একেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর