‘বাড়ির মালিককে গলায় গামছা পেচিয়ে হত্যা করেছি’ 

আমার বাসার বকেয়া ভাড়া আনতে আসেন বাড়ির মালিক শিরিনা বেগম (৬০)। এসময় তার সঙ্গে আমার কথা কাটাকাটি হয়। এরই মাঝে জুতা তুলে আমাকে মারতে আসেন তিনি। এসময় তাকে বাধা দিই। এক পর্যায়ে গলায় গামছা পেচিয়ে ধরে তাকে হত্যা করি— এভাবে শিরিনা বেগমকে খুন করেছেন বলে আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন আসামি আমিন মিয়া (২৬)।

রোববার (২২ জানুয়ারি) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আরেফিন আহমেদ হ্যাপির আদালতে গ্রেফতার আমিন মিয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এই তথ্য জানান।

সোমবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহরাব আল হোসাইন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

শিরিনা বেগম জেলা শহরের মধ্য মেড্ডার সবুজ আলীর স্ত্রী।

থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহরাব আল হোসাইন জানান, মধ্য মেড্ডার মৃত হিরা মিয়ার ছেলে আমিন মিয়া একই এলাকার সবুজ আলীর বাড়িতে মাসিক ১৪০০ টাকায় একটি টিনের ঘরে ভাড়া থাকেন। বাড়ির মালিক সবুজ আলী পরিবার নিয়ে পাশে আরেকটি বাড়িতে বসবাস করেন। গত ৩ মাস ধরে আমিন মিয়া বাসা ভাড়া দিচ্ছিলেন না। শনিবার (২১ জানুয়ারি) সকালে সবুজ আলীর স্ত্রী শিরিনা বেগম ভাড়া দেওয়া বাড়িতে যান। সেখানে গিয়ে আমিন মিয়ার কাছে তিন মাসের ভাড়া ৪২০০ টাকা দিতে বলেন শিরিনা বেগম। এসময় দুজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হলে শিরিনা বেগম পায়ের জুতা খুলে আমিনকে বাড়ি মারতে যান। তখন আমিন একটি গামছা দিয়ে শিরিনার গলায় পেচিয়ে ফাঁস দিলে শ্বাসরোধে সে মারা যায়। পরে শিরিনার মরদেহটি লেপে মুড়িয়ে শয়ন কক্ষের খাটের নিচে লুকিয়ে রেখে চলে যান।

এদিকে, দীর্ঘ সময় শিরিনা বেগম বাসায় ফেরত না গেলে তার আত্মীয়-স্বজন বিভিন্ন জায়গায় খুঁজতে থাকে। খোঁজা-খুঁজির একপর্যায়ে বিকেলের দিকে আমিনের ঘরের দরজা খোলা দেখেন শিরিনার ছেলে। সেই ঘরে তল্লাশি করলে খাটের নিচে লেপে মোড়ানো শিরিনার অচেতন দেহ পেয়ে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আমিনকে পেয়ে এলাকাবাসী গণধোলাই দিয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।