শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

মহাসড়কের পাশে প্রসব বেদনায় নারী, ছুটে গেলেন যুগ্মসচিব

জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২২ জানুয়ারি ২০২৩, ১০:০৭ পিএম

শেয়ার করুন:

মহাসড়কের পাশে প্রসব বেদনায় নারী, ছুটে গেলেন যুগ্মসচিব
ছবি : ঢাকা মেইল

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে প্রসব বেদনায় ছটফট করছিলেন মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারী। এ সময় অফিসের কাজে ঢাকা থেকে হবিগঞ্জ যাচ্ছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব জাকিয়া পারভীন। তিনি ওই নারীর কথা জানতে পেরে ছুটে যান সেখানে। পরে তার সার্বিক তত্ত্বাবধানে ওই নারী ছেলের জন্ম দেন।

রোববার (২২ জানুয়ারি) বেলা ১টার দিকে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার জগদীশপুর মুক্তিযুদ্ধ চত্বর এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে ঘটনা ঘটে।


বিজ্ঞাপন


জন্মের পর মা ও নবজাতককে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে মা–শিশু দুজনেই সুস্থ আছেন। 

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. নুরুল হক বলেন, অফিসের কাজে ঢাকা থেকে হবিগঞ্জ আসার পথে ঘটনা শোনামাত্র জগদীশপুর মুক্তিযুদ্ধ চত্বরে আসেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব জাকিয়া পারভীন, সহকারী পরিচালক ডা. রওশন জাহান ও আখতার জাহান। তাদের উপস্থিতিতে বেলা ১টার দিকে মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারী স্বাভাবিকভাবে সন্তান প্রসব করেন। 

মাধবপুর উপজেলা প্রশাসন ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গত কয়েকদিন ধরে জগদীশপুর মুক্তিযুদ্ধ চত্বর এলাকায় ওই মানসিক ভারসাম্যহীন নারী ঘোরাফেরা করছিলেন। রোববার সকালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে জগদীশপুর মুক্তিযুদ্ধ চত্বর এলাকায় তাকে প্রসব বেদনায় ছটফট করতে দেখা যায়। কয়েকজন বিষয়টি মাধবপুর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মনজুর আহসানকে জানান। খবর পেয়ে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মনজুর আহ্সান মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে নার্স ও অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন। সেখানে সন্তান জন্মের পর মা ও নবজাতককে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে মা ও শিশু দুজনেই সুস্থ আছেন। 

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইশতিয়াক আল মামুন বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছি। তাৎক্ষণিকভাবে জগদীশপুর ইউনিয়নের স্বাস্থ্যকর্মীরা নবজাতক ও প্রসূতি সেবার ব্যবস্থা করেছে। খবর পেয়ে মাধবপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. শাহজাহান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনজুর আহসান, মাধবপুর থানার ওসি আ. রাজ্জাক, পুলিশ পরিদর্শক আতিকুল ইসলাম, শিক্ষা কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান, সমাজসেবা কর্মকর্তা আশরাফ আলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে মা ও নবজাতককে দেখে গেছেন।’


বিজ্ঞাপন


মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনজুর আহসান বলেন, নবজাতকের মা যেহেতু মানসিক ভারসাম্যহীন এবং বাবার পরিচয় নেই। তাই শিশুটির লালন-পালন ও ভবিষ্যত নিশ্চিত করবে সমাজসেবা অধিদফতর।

প্রতিনিধি/এইচই

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর