শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

চুয়াডাঙ্গায় শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত, বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ

মিজানুর রহমান
প্রকাশিত: ১৯ জানুয়ারি ২০২৩, ০৯:৪৭ এএম

শেয়ার করুন:

চুয়াডাঙ্গায় শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত, বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ

চুয়াডাঙ্গায় প্রতিদিনই তাপমাত্রা নিচের দিকে নামছে এবং শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। শীত মৌসুমের বেশির ভাগ সময়ই চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে বয়ে গেছে মৃদু শৈত্য প্রবাহ। এরই মধ্যে বেশ কিছু দিন দেশের এবং মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে এ জেলায়।

বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলয়িসায় রেকর্ড করা হয়েছে, এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিলো ৮৮ শতাংশ। এর আগে বুধবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল ৯ টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলয়িসায় রেকর্ড করা হয়েছে, এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ।


বিজ্ঞাপন


চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিবুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিবুল হাসান বলেন, আজ সকাল ৬টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৭  ডিগ্রি সেলয়িসায় রেকর্ড করা হয়, এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৪ শতাংশ। এ তাপমাত্রা আরো কমে সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৮ শতাংশ। এ জেলার উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতি আরও কিছুদিন অব্যাহত থাকতে পারে।

এদিকে, বেলা বাড়লেও কমছে না শীতের তীব্রতা। উত্তরের হিমেল হাওয়ার কাছে কাবু হচ্ছে জনজীবন। ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। তীব্র শীতে নিম্ন আয়ের মানুষ পড়েছেন চরম বিপাকে। টান পড়ছে আয়-রোজগারে। আয় রোজগার কমে যাওয়ার কারণে চরম বিপাকে পড়েছেন তারা।

winter


বিজ্ঞাপন


কাজের সন্ধানে চুয়াডাঙ্গার গাড়াবাড়িয়া গ্রাম থেকে শহরের শহীদ হাসান চরে আসা শ্রমিক ফকির মোহাম্মদ বলেন, ‘কাজের উদ্দেশ্যে তীব্র শীতের মধ্যেই ভোর বেলা আসতে হয়। কাজ পাব না জেনেও চলে আসি, কোনো একটা কাজ যদি পাই এই ভেবে। কাজ না করলে সংসার চলবে না।’

রঙমিস্ত্রি মতিয়ার রহমান বলেন, আমার সঙ্গে ১৫/১৬ জন শ্রমিক প্রতিদিন কাজ করে। শীতের তীব্রতার কারণে কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। আপাতত সবাই বেকার বসে দিন পার করছি।

চুয়াডাঙ্গার শহীদ হাসান চত্বরের কিছু ভ্যান ও অটোরিকশা চালকরা জানান, প্রচন্ড ঠান্ডার কারণে মানুষের আনাগোনা কমে গেছে। খুব প্রয়োজনীয় কাজ না থাকলে কেউ বাইরে বের হচ্ছে না। খোলা ভ্যানে ঠান্ডা বাতাসের কারণে কেউ উঠতে চাচ্ছে না। এতে আমাদের আয় রোজগার কমে গেছে। যারা ভাড়ায় অটোরিকশা ও ভ্যান চালায় তারা সব চেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন। কারণ তাদের আয় রোজগার না হলেও তাদের ভাড়ার টাকা মহাজনকে পরিষোধ করতে হবে।

টিবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর