শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

আবারও শৈত্যপ্রবাহের কবলে চুয়াডাঙ্গা!

জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১৭ জানুয়ারি ২০২৩, ০৯:৩৩ এএম

শেয়ার করুন:

আবারও শৈত্যপ্রবাহের কবলে চুয়াডাঙ্গা!

তিন দিনের ব্যবধানে আবারও চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।

মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


বিজ্ঞাপন


প্রায় প্রতিদিনই সন্ধ্যা থেকে দুপুর পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকছে। হিমেল বাতাস বয়ে যাওয়ার কারণে তীব্র শীতের অনুভূতি কয়েকগুন বেড়েছে। এতে স্বাভাবিক জীবন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) থেকে শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) পর্যন্ত একটানা ৯ দিন শৈত্য প্রবাহ বিরাজ করে চুয়াডাঙ্গায়। এর মধ্যে তাপমাত্রার পারদ উঠানামা করে ৬ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ভেতরে। বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। যা চুয়াডাঙ্গার এই মৌসুমেরও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।

Chuadangga

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিবুল হাসান ঢাকা মেইলকে বলেন, মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলয়িসায় রেকর্ড করা হয়েছে। এসময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯০ শতাংশ। এর আগে সোমবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রি সেলয়িসায় রেকর্ড করা হয়। এসময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৮০ শতাংশ।


বিজ্ঞাপন


রবিবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলয়িসায় রেকর্ড করা হয়। এসময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৮ শতাংশ।

শনিবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রি সেলয়িসায় রেকর্ড করা হয়। এসময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ।

তীব্র শীতে কৃষি ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। গত কয়েক দিনের ঘন কুয়াশার কারণে বোরো ধানের বীজতলা ও আলুখেত রক্ষায় বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর।

চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গায় চলতি মৌসুমে ৩৬ হাজার ৭১০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এ জন্য ১ হাজার ৯০৪ হেক্টর জমিতে বীজতলা প্রস্তুত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বোরো ধান রোপণ শুরু হয়েছে। ঘন কুয়াশার কারণে বোরো বীজতলা কিছুটা ক্ষতি হলেও আগাম বোরো বীজতলা থাকাতে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ সহজ হবে।

Chuadangga

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা ঢাকা মেইলকে বলেন, মাঠপর্যায়ে কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন। কৃষকদের ধানের বীজতলা রক্ষায় সকালে চারার ওপর থেকে শিশির সরিয়ে দেওয়া এবং চারা রাতের বেলায় ঢেকে দেওয়া পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বীজতলা লাল হয়ে গেলে জিপসাম ও ইউরিয়া সার দিতে বলা হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গায় তীব্র শীত বাড়া এবং হঠাৎ তাপমাত্রা ওঠানামার তারতম্যের কারণে হাসপাতালগুলো প্রতিনিয়ত বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা।

Chuadangga

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. আসাদুর রহমান মালিক খোকন ঢাকা মেইলকে বলেন, শীতে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব রোগীদের মধ্যে শিশু এবং বয়স্কদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এই তীব্র শীতে হিমেল বাতাসের কারণে বেশি নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। এসব রোগীদেরকে চিকিৎসা, সচেতন থাকা এবং টাটকা ও গরম খাবার খাওয়ানোর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান ঢাকা মেইলকে বলেন, ইতোমধ্যে শীতার্ত মানুষের মধ্যে সরকারি উদ্যোগে ২১ হাজার নতুন কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। চারটি উপজেলায় দুই লাখ করে আট লাখ টাকার শীতবস্ত্র কেনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বেসরকারি উদ্যোগেও অনেক প্রতিষ্ঠান, সংগঠন, ব্যাক্তি উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।

প্রতিনিধি/এসএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর