১০ দিনেও খোঁজ মেলেনি ছাত্রলীগ নেতার

মানববন্ধন শেষে উপজেলা পরিষদ চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল করে বিক্ষুব্ধ জনতা।

মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, গত ২ ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির ২৫ বছর পূর্তি উদযাপিত হয়েছে। এই অনুষ্ঠানে অনেকেই অংশগ্রহণ করেছে। এর দুদিন পরই সালাহ উদ্দিনকে অপহরণ করা হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জনসংহতি সমিতি জড়িত। অপহরণের পর দীর্ঘ ১০ দিন কেটে গেলেও এখনও তার খোঁজ মেলেনি। যদি সালাহ উদ্দিনকে মুক্তি দেওয়া না হয় কিংবা জীবিত ফেরত দেওয়া না হয় তাহলে আমরা কঠোর আন্দোলন করব।

এসময় তারা বান্দরবান-রাঙ্গামাটি সড়ক যোগাযোগ বন্ধ করারও হুঁশিয়ারি দেন।

'অপহৃত' মো. সালাহ উদ্দিন বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য ও শফিপুর এলাকার বাসিন্দা মৃত মুজিবুর রহমানের ছেলে। সালাহ উদ্দিন উপজেলা ছাত্রলীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক ও পেশায় একজন স্ক্যাভেটর চালক।

এর আগে গত ৪ ডিসেম্বর রোববার সকালে রাজস্থলী উপজেলার ঘিলাছড়ি ইউনিয়নের আমতলীপাড়া নামক এলাকা থেকে তাকে অপহরণ করা হয়েছে বলে পরিবারের দাবি।

পরিবার এ ঘটনায় সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতিকে (জেএসএস) দায়ী করে আসছে। ঘটনার পরদিন ৫ ডিসেম্বর রাজস্থলী থানায় নিখোঁজ দাবি করে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে সালাহ উদ্দিনের বড় ভাই মো. আল আমিন হোসেন।

সালাহ উদ্দিনের ভাই ও উপজেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ফোরকান হোসেন মুন্না আল আমিন হোসেন বলেন, আমার ভাইকে অপহরণের পর দীর্ঘ ১০ দিন কেটে গেছে। এখনও ভাইয়ের কোনো সন্ধান পাইনি৷ আমরা ভাইয়ের সন্ধান চাই, আমাদের ভাইকে হারাতে চাই না। জেএসএস এখনো পর্যন্ত আমাদের কাছে কোনো যোগাযোগ কিংবা মুক্তিপণ দাবি করেনি। আমরা নিশ্চিত তাকে জেএসএসের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা অপহরণ করেছে।

এদিকে, বাঙ্গালহালিয়া সচেতন নাগরিক সমাজের সদস্য সচিব এম রেজাউল আলম বলেন, যে এলাকা থেকে সালাহ উদ্দিন নিখোঁজ হয়েছে, সেটা জেএসএসের ঘাটি। এই অপহরণে তারাই জড়িত। আমরা তাকে উদ্ধারে ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছি, অন্যথায় আমরা কঠোর কর্মসূচি দেব।

তবে অপহরণের অভিযোগ প্রসঙ্গে জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

প্রতিনিধি/এসএস