বগুড়ায় সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ও বিভিন্ন বাধা উপেক্ষা করে প্রতিষ্ঠিত হওয়া পাঁচ নারীকে জয়িতা পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে।
শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুর একটার দিকে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তাদের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন জেলা প্রশাসক মোঃ সাইফুল ইসলাম। পুরস্কার হিসেবে প্রত্যেককে একটি সার্টিফিকেট, একটি ক্রেস্ট দেয়া হয়।
বিজ্ঞাপন
অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান ও সাফল্য অর্জন করায় শাজাহানপুরের মাসুমা আক্তারকে জয়িতা পুরস্কার পেয়েছেন। তিনি মাংসের আচার বিদেশী রপ্তানি করে সফল হয়েছেন।
শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করায় পুরস্কার পেয়েছেন শাজাহানপুরের কানিজ ফাতেমা। তিনি শিক্ষকতা করছেন। পেশাগত দক্ষতা অর্জনের জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও তার সফল প্রয়োগের মাধ্যমে শিক্ষার উন্নয়ন সাধন ও ভূমিকা রাখছেন।
সফল জননী নারী ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পান সারিয়াকান্দির শাহিনুর বেগম। তিনি সেলাই মেশিনে কাজ করে অভাবের সংসারে হাল ধরে দুই ছেলে-মেয়েকে পড়ালেখা করান। বর্তমানে তার ছেলে শিহান মাহমুদ কুয়েট থেকে পড়াশুনা শেষ করে রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে এবং তার মেয়ে তার মেয়ে মনিরা পারভীন এমবিএ শেষ করে নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট কোম্পানীতে ডেপুটি শাখা ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত।
নির্যাতনের বিভীষিকা ভুলে নতুন উদ্যোমে জীবন শুরু করায় পুরস্কার পেয়েছেন বগুড়া সদরের বাসিন্দা মরিয়ম বেগম।তিনি হিন্দু পরিবারে জন্ম নেন এবং পরবর্তীতে মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করেন। বিয়ের পর থেকেই তিনি স্বামীর ভয়াভব নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। পরে নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে পড়াশুনা শেষ করে ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীতে চাকরি নেন এবং তিনি এখন ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার পদে কর্মরত রয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
এছাড়া সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় বগুড়া সদরের ইসরাত জাহানকে জয়িতা পুরস্কার দেয়া হয়েছে। তার বর্তমানে পাঁচটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সেখানে শতাধিক নারী-পুরুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন।
সম্মাননা প্রদান শেষে জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, 'জীবন সংগ্রামে অপ্রতিরোধ্য ও আত্মপ্রত্যয়ী নারীর নাম জয়িতা। সরকার তাদের অসামান্য অর্জনের যথাযথ স্বীকৃতি দিয়েছে। ফলে নারীরা আর্থিক স্বচ্ছলতা ও স্বাবলম্বিতা অর্জনের মাধ্যমে স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশ ও সিদ্ধান্ত নিতে পারছে। বৈষম্যহীন ও সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সরকার সমাজের বিভিন্ন স্তর থেকে জয়িতাদের চিহ্নিত করে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।'
বগুড়া মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(উপসচিব পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মাসুম আলী বেগ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সমর কুমার পাল উপস্থিত ছিলেন। পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুর একটার দিকে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তাদের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন জেলা প্রশাসক মোঃ সাইফুল ইসলাম। পুরস্কার হিসেবে প্রত্যেককে একটি সার্টিফিকেট, একটি ক্রেস্ট দেয়া হয়।
অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান ও সাফল্য অর্জন করায় শাজাহানপুরের মাসুমা আক্তারকে জয়িতা পুরস্কার পেয়েছেন। তিনি মাংসের আচার বিদেশী রপ্তানি করে সফল হয়েছেন।
শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করায় পুরস্কার পেয়েছেন শাজাহানপুরের কানিজ ফাতেমা। তিনি শিক্ষকতা করছেন। পেশাগত দক্ষতা অর্জনের জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও তার সফল প্রয়োগের মাধ্যমে শিক্ষার উন্নয়ন সাধন ও ভূমিকা রাখছেন।
সফল জননী নারী ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পান সারিয়াকান্দির শাহিনুর বেগম। তিনি সেলাই মেশিনে কাজ করে অভাবের সংসারে হাল ধরে দুই ছেলে-মেয়েকে পড়ালেখা করান। বর্তমানে তার ছেলে শিহান মাহমুদ কুয়েট থেকে পড়াশুনা শেষ করে রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে এবং তার মেয়ে তার মেয়ে মনিরা পারভীন এমবিএ শেষ করে নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট কোম্পানীতে ডেপুটি শাখা ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত।
নির্যাতনের বিভীষিকা ভুলে নতুন উদ্যোমে জীবন শুরু করায় পুরস্কার পেয়েছেন বগুড়া সদরের বাসিন্দা মরিয়ম বেগম।তিনি হিন্দু পরিবারে জন্ম নেন এবং পরবর্তীতে মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করেন। বিয়ের পর থেকেই তিনি স্বামীর ভয়াভব নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। পরে নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে পড়াশুনা শেষ করে ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীতে চাকরি নেন এবং তিনি এখন ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার পদে কর্মরত রয়েছেন।
এছাড়া সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় বগুড়া সদরের ইসরাত জাহানকে জয়িতা পুরস্কার দেয়া হয়েছে। তার বর্তমানে পাঁচটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সেখানে শতাধিক নারী-পুরুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন।
সম্মাননা প্রদান শেষে জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, জীবন সংগ্রামে অপ্রতিরোধ্য ও আত্মপ্রত্যয়ী নারীর নাম জয়িতা। সরকার তাদের অসামান্য অর্জনের যথাযথ স্বীকৃতি দিয়েছে। ফলে নারীরা আর্থিক স্বচ্ছলতা ও স্বাবলম্বিতা অর্জনের মাধ্যমে স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশ ও সিদ্ধান্ত নিতে পারছে। বৈষম্যহীন ও সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সরকার সমাজের বিভিন্ন স্তর থেকে জয়িতাদের চিহ্নিত করে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।'
বগুড়া মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(উপসচিব পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মাসুম আলী বেগ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সমর কুমার পাল উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিনিধি/ এজে

