শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

হাসপাতালে নারী কর্মচারীকে মারধরে সড়ক অবরোধ

জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৮ ডিসেম্বর ২০২২, ০৫:১৫ পিএম

শেয়ার করুন:

হাসপাতালে নারী কর্মচারীকে মারধরে সড়ক অবরোধ
ছবি : ঢাকা মেইল

বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের এক নারী কর্মচারীকে মারধর করেছে স্থানীয় এক যুবক। এ ঘটনায় হাসপাতাল কর্মচারীরা আজ বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) হাসপাতালের সামনে বগুড়া-শেরপুর রোড অবরোধ করে। 

পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। 


বিজ্ঞাপন


মারধরে আহত জয়নাব বানু আশাকে ওই হাসপাতালেই ভর্তি করা হয়েছে। তিনি মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে আয়া পদে কর্মরত।

চিকিৎসাধীন আশা জানান, তিনিসহ হাসপাতালের কয়েকজন কর্মচারী কোয়ার্টারের একটি পরিত্যক্ত ভবনে থাকেন। হাসপাতালের বিপরীত পাশের ওই কোয়ার্টারে স্থানীয় কিছু যুবক নিয়মিত আড্ডা দিত। সম্প্রতি কর্মচারীরা তাদেরকে সেখানে প্রবেশে নিষেধ করে। বুধবার বিকেল ৪টার দিকে তিনি হাসপাতাল থেকে কোয়ার্টারের বাসায় যাওয়ার সময় চত্বরে রাশেদ কাজী ভন্ডু নামের এক যুবককে ঘোরাঘুরি করতে দেখেন। তাকে সেখানে ঢোকার কারণ জিজ্ঞেস করলে তিন ক্ষিপ্ত হন। এক পর্যায়ে তাকে মারধর শুরু করে। ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাকে কোপানোর চেষ্টাও চালানো হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি। 

হাসপাতাল কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন জানান, বুধবার বিকেলের ঘটনা হওয়ায় কর্মচারীরা বিষয়টি জানতে পারেনি। বৃহস্পতিবার সকালে তারা হাসপাতালে এসে আশাকে হাসপাতালে ভর্তি দেখে ঘটনা জানতে পারেন। আশা তাদের জানান ওই ঘটনা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. শফিক আমীন কাজলকে জানালে তাকে থানায় অভিযোগ দিতে বলেন। তিনি থানায় রওনা দিলে কিছুক্ষণ পর আরএমও তাকে ফোনে জানান, থানা পুলিশের সঙ্গে কথা হয়েছে আগেই অভিযোগ দিতে হবে না, পুলিশ গিয়ে ভন্ডুকে আটক করে নিয়ে যাওয়ার পর অভিযোগ দিলেই চলবে। এটা শুনে আশা হাসপাতালে ফিরে যান। অথচ বৃহস্পতিবার সকালে হাসপাতাল চত্বরেই হামলাকারী ভন্ডু তার স্ত্রীর দোকানে বসেছিলো। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে কর্মচারীরা সড়ক অবরোধ করে। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ গিয়ে হামলাকারীকে গ্রেফতারের আশ্বাস দেওয়ায় তারা অবরোধ তুলে নিয়েছেন।

যোগাযোগ করা হলে আরএমও ডা. শফিক আমীন কাজল বলেন, পুলিশ বিষয়টিকে সম্ভবত গুরুত্ব দেয়নি। বিষয়টি তাৎক্ষণিক সদর থানায় জানানোর পর তারাই অভিযোগ পরে দিতে বলেন, অথচ বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত পুলিশের কার্যকর বা দৃশ্যমান কোন তৎপরতা দেখা যায়নি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে কর্মচারিরা রাস্তায় নামে।


বিজ্ঞাপন


বগুড়া সদর থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম বলেন, থানা থেকে অভিযোগ পরে করতে বলার তথ্য সঠিক নয়। হামলাকারীকে আটকে অভিযান চালানো হচ্ছে। আহত ওই কর্মচারীকে থানায় অভিযোগ দায়ের করতে বলা হয়েছে।

প্রতিনিধি/এইচই

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর