শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

জনস্থানে নারীর নিরাপদ চলাচলে নিশ্চয়তা ও সহিংসতা বন্ধে কর্মশালা

জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৮ ডিসেম্বর ২০২২, ০৪:০১ পিএম

শেয়ার করুন:

জনস্থানে নারীর নিরাপদ চলাচলে নিশ্চয়তা ও সহিংসতা বন্ধে কর্মশালা

নারী ও কন্যা শিশুদের প্রতি সহিংসতা রোধে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসের ওপর গুরুত্ব দিয়ে বলা হয়েছে, সমাজ থেকে অপরাধ উপড়ে ফেলা সম্ভব না। কিন্ত সম্মিলিত প্রচেষ্টায় তাকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। আর এ জন্য তরুণ সমাজকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।

সামাজিক ও অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে নারীর উপস্থিতি প্রতিনিয়ত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নারীর প্রতি সহিংসতাও বাড়ছে। লজ্জা ও অপমানের ভয়ে নীরব না থেকে মুখ খুলতে হবে এবং সচেতন শ্রেণীকে নির্যাতিতার পাশে দাঁড়াতে হবে।


বিজ্ঞাপন


‘জনস্থানে নারীর নিরাপদ চলাচলে নিশ্চয়তা ও সহিংসতা’ বন্ধে বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে বরিশাল নগরীর এবিসি ফাউন্ডেশনে ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিসের আয়োজনে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মশালাটি যৌথভাবে সহায়তা করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, ইউএনডিপি, সিআরআই এবং ইয়ং বাংলা।

আরিফুর রহমান শুভর সঞ্চালনায় কর্মশালায় ছিলেন কাওছার পারভিন পরিচালক (বিএমকেএস), সাইফুল ইসলাম মনির সেক্রেটারি (বহুমুখী সিটি হকার্স মার্কেট)। আরও ছিলেন হাসিনা আক্তার নিলা, (পরিচালক - শুভসংঘ)। সেমিনারের রিসোর্স পারসন হিসেবে ছিলেন ময়ুরী আক্তার টুম্পা (প্রোগ্রাম ম্যানেজার-প্রতিকি যুব সংসদ)।

কর্মশালায় জানানো হয়, ১০ থেকে ১৮ বছর বয়সী নারী ও শিশুদের ৯০ শতাংশই রাস্তা, বাজার বা বিপনী কেন্দ্র, গণপরিবহন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য জনস্থানে যৌন হয়রানি, সহিংসতা ও অবাঞ্ছিত শারীরিক স্পর্শের শিকার হয়।


বিজ্ঞাপন


দেশের ৭টি মহানগরে ৮৪ শতাংশ নারী ও কন্যা শিশু অবমাননাকর ও যৌন কটূক্তিমূলক মন্তব্যের শিকার হয়ে থাকে। ৯৪ শতাংশ নারী তাদের জীবনে কোনো না কোনভাবে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে। যার ফলে অস্বস্তিকর অবস্থার সম্মুখিন হওয়ার কারণে ২০.৫ শতাংশ নারী গণপরিবহনের ব্যবহার এড়িয়ে চলে।

কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ৭৬ শতাংশ নারী শিক্ষার্থী এযাবত অন্তত একবার যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে। শহর এলাকায় বসবাসকারী ৫৪.৭ শতাংশ নারী অপরিচিত ব্যক্তির দ্বারা শারীরিক, মানসিক, আর্থিক ও সামাজিক সহিংসতাসহ অবাঞ্ছিত শারীরিক স্পর্শের শিকার হয়ে থাকে।

কোভিড-১৯ মহামারির সময়কাল থেকে নারীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও নানা ধরণের নিপীড়ন এবং যৌন হয়রানি বা সহিংসতার শিকার হচ্ছে।

কর্মশালায় জানানো হয়, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে তরুণ সমাজ ও নাগরিকদের ধারণা, দৃষ্টিভঙ্গি ও আচরণে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই), তরুণদের প্লাটফর্ম ইয়াং বাংলা, ইউএনডিপির মানবাধিকার কর্মসূচি এইচআরপি এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশন যৌথভাবে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন শুরু করেছে। যার লক্ষ্য সহিংসতা ও হয়রানি বন্ধে প্রাতিষ্ঠানিক ও নীতিগত পরিবর্তন আনা এবং যৌথ হয়রানি বন্ধে প্রয়োজনীয় আইনি কাঠামো তৈরি করা।

কর্মশালায় তরুণ সংগঠনের প্রতিনিধিরা, গণমাধ্যমকর্মী, এনজিও প্রতিনিধি, বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটি এবং পরিবহন সেক্টরের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

প্রতিনিধি/এসএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর