শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ঢাকা

ভাঙারির দোকানে মেডিকেল বর্জ্য, ২ জনের বিরুদ্ধে মামলা

জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৭ ডিসেম্বর ২০২২, ১০:৪৮ এএম

শেয়ার করুন:

ভাঙারির দোকানে মেডিকেল বর্জ্য, ২ জনের বিরুদ্ধে মামলা
ফাইল ফটো

চট্টগ্রামের পাহাড়তলী এলাকার এক ভাঙারির দোকানে মেডিকেল বর্জ্য মজুত রাখায় দুইজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর।

মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আবদুল্লাহ আল মতিন বাদী হয়ে আকবর শাহ থানায় মামলাও দায়ের করেন।


বিজ্ঞাপন


পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের পরিচালক হিল্লোল বিশ্বাস বিষয়টি জানিয়েছেন।

মামলায় আসামিরা হলেন— হাসপাতালটির বর্জ্যবহনকারী ভ্যানচালক বিজয় দাশ এবং বর্জ্যের ক্রেতা এক ভাঙারি ব্যবসায়ী মো. জাহাঙ্গীর।

পরিবেশ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, পাহাড়তলী চক্ষু হাসপাতালটি পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের পাশেই। সোমবার হাসপাতালটিতে ভ্যানে করে মেডিকেল বর্জ্য নিয়ে যাওয়ার সময় ভ্যানচালক বিজয় দাশকে আটক করে পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। এসময় ভ্যানটি থেকে প্রায় ৩০০ কেজি চিকিৎসা বর্জ্য জব্দ করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বর্জ্যের ক্রেতা পাহাড়তলী এলাকার ভাঙারি দোকানি জাহাঙ্গীরকে আটক করে। ওই ভাঙারি দোকানেও প্রায় ৩শ কেজি চিকিৎসা বর্জ্য উদ্ধার করে পরিবেশ অধিদপ্তর।

আটক ভাঙারি দোকানি পরিবেশ অধিদপ্তরকে জানায়, গত ৪ থেকে ৫ মাস ধরে ওই ভ্যানচালকের কাছ থেকে এসব চিকিৎসাবর্জ্য সংগ্রহ করছেন তিনি। দোকানটিতে চিকিৎসাবর্জ্য যত্রতত্র খোলা ও অনিরাপদভাবে মজুত অবস্থায় দেখা পান পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। দোকানটিতে প্রক্রিয়াজাত করে এসব চিকিৎসা বর্জ্য পুনরায় বিক্রি করা হতো। দোকানটির কোনো ধরনের লাইসেন্স ছিল না।


বিজ্ঞাপন


দোকানটিতে পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযানের টের পেয়ে পালিয়ে যায় ভ্যানচালক বিজয় দাশ। এরপর আটক ভাঙারি দোকানদার জাহাঙ্গীরকে সঙ্গে নিয়ে পাহাড়তলী চক্ষু হাসপাতালে অভিযান চালায় পরিবেশ অধিদপ্তর। জাহাঙ্গীরকে থানায় সোপর্দ করে সোমবার রাতেই থানায় মামলা দায়ের করে পরিবেশ অধিদপ্তর। থানায় মামলাটি মঙ্গলবার সকালে রেকর্ড হয়।

অন্যদিকে, পাহাড়তলী চক্ষু হাসপাতালের অভিযানের পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে মঙ্গলবার শুনানিতে ডাকে পরিবেশ অধিদপ্তর। শুনানিতে পাহাড়তলী চক্ষু হাসপাতালের প্রতিনিধি সহকারী ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো. সাজিউল ইসলাম, সরকারিভাবে অনুমোদিত বর্জ্য সংগ্রহ ও প্রক্রিয়াজাতকারী প্রতিষ্ঠান ‘চট্টগ্রাম সেবা সংস্থা’র সুপারভাইজার মো. সেলিম, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মী (আউটসোর্সিং) মানিক কুমার দাশ শুনানিতে অংশ নেন। শুনানিতে পাহাড়তলী চক্ষু হাসপাতালের বর্জ্য নিয়ে অব্যবস্থাপনার সত্যতা পান পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক হিল্লোল বিশ্বাস।

এ ব্যাপারে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের পরিচালক হিল্লোল বিশ্বাস জানান, পাহাড়তলী চক্ষু হাসপাতালে চিকিৎসা বর্জ্য অব্যবস্থাপনার সত্যতা মিলেছে। যেহেতু তাদের বর্জ্য নিয়ে থানায় একটি মামলা হয়েছে। মামলাটি পরিবেশ অধিদপ্তর তদন্ত করছে। তদন্তে গাফিলতি, অব্যবস্থাপনা, অনিয়ম থাকলে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। সোমবার রাতে দায়েক করা মামলাটিতে দ্রুত আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হবে।

টিবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর