মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে বদলে গেছে আশ্রয়হীনদের জীবন

মো. ফারুক হোসেন
প্রকাশিত: ০৪ ডিসেম্বর ২০২২, ০১:২৬ পিএম

শেয়ার করুন:

প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে বদলে গেছে আশ্রয়হীনদের জীবন
ছবি: ঢাকা মেইল

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের ঘর বদলে দিয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলার ছিন্নমূল অলকা, মাতুয়ার, সখিনা, হাবিবাদের জীবনমান।

তারা আগে রেলবস্তিসহ বিভিন্ন স্থানে অসহায়ত্ব নিয়ে বসবাস করতেন। কিন্তু তারা প্রধানমন্ত্রীর উপহারের বাড়ি পেয়ে স্থায়ী ঠিকানা পাওয়ায় সরকারি সহায়তার পাশাপাশি নিজ উদ্যোগে নানান কর্ম করে অতীতের দুঃখ কষ্টকে ঝেরে মুছে নতুন উদ্যোমে চলতে শুরু করেছেন।


বিজ্ঞাপন


এক সময় অতিকষ্টে পরিবারের সদস্যদের পেটের ভাত জোগাড় করতে পারলেও ঘুমানোর কষ্ট লাঘব করতে পারেনি আশ্রয়হীন মানুষগুলো। কিন্তু আজ তাদের সেই লালিত স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিয়েছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারা গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর ইউনিয়নের ভোগলপুর এলাকার দক্ষিণাপুকুর আশ্রয়ণ প্রকল্পসহ বিভিন্ন স্থানে প্রদানমন্ত্রীর ঘর পেয়ে আজ পেটপুরে খেয়ে পাকা বাড়িতে শান্তিতে আছেন। পাশাপাশি হাতের কাজসহ বিভিন্ন সবজি ফলিয়ে এবং হাঁস-মুরগিসহ গবাদি পশু পালন করে সংসারে ফিরিয়ে নিয়ে এসেছেন স্বচ্ছলতা।

আশ্রয়ন প্রকল্পে বসবাসকারী মাতুয়ারা বেগম ঢাকা মেইলকে জানান, তার পরিবার নিয়ে আগে রেল স্টেশনের পাশে কোনোরকম বসবাস করতেন। এখন তিনি প্রধানমন্ত্রীর ঘর পেয়ে স্বামী সন্তান নিয়ে বেশ সুখে আছে। এখানে তিনি স্বামীর পাশাপাশি নিজেও হাঁস মুরগী ও সেলাই মেশিনের কাজ করে কিছু  রোজগার করেন।

ভোগোলপুর আশ্রয়ন প্রকল্পে বসবাসকারী অলকা বেগম জানান, প্রধানমন্ত্রী যে জায়গাটুকু দিয়েছে, সেখানে তারা সবজি চাষ করে বাড়তি আয় করতে পারেন। এতে তার স্বচ্ছলতা এসেছে।  

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার আশ্রয়ন প্রকল্পের উপকার ভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা এখন অনেক ভাল আছেন। কারণ, এখানে শুধু তারা বাড়ি উপহার পাননি। পেয়েছেন মাছ চাষ করার জন্য পুকুর, সবজি চাষ করার জন্য জমি। এছাড়া বাড়িতে বিদ্যুৎ, বিশুদ্ধ খাবার পানি, পাকা টয়লেট, যা তাদের সপ্ন ছিল, আজ প্রধানমন্ত্রী তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছে।


বিজ্ঞাপন


আশ্রয়ণ প্রকল্প বসবাসকারী নাসিরুল জানান, বর্ষাকালে আমাদের কাঁচারাস্তায়  চলাচল করতে অনেক অসুবিধা হয়। রাস্তাটি পাঁকা করে দিলে আমারা অনেক অসুবিধা থেকে বাঁচতাম। এছাড়াও আমরা এখানে একটি মসজিদ ও স্কুল চাই। কারণ আমাদের এখান থেকে মসজিদ ও স্কুল অনেক দূরে।

গোমস্তাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আসমা খাতুন ঢাকা মেইলকে জানান, বাল্যবিবাহ, মাদক ও জঙ্গিবাদ দমনে আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসকারীদের নিয়ে নিয়মিত মতবিনিময় করা হয়। এছাড়া কৃষি ও গবাদিপশু পালনে কাজ করে যাচ্ছে সকল বিভাগ। এছাড়াও তাদের জীবন মানে উন্নয়নে কাজ করছে সরকার।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক (ডিসি) এ কে এম গালিব খান ঢাকা মেইলকে জানান, প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে জেলায় ৪ হাজার ৫৮৯টি ভূমিহীন পরিবারকে ঘরবাড়ি দেওয়া হয়েছে এবং আরও ২৩০টি ঘরবাড়ি নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এখন তারা নিজের ঘর পেয়ে ভাগ্যবদলে আত্মনিয়োগ করেছেন।

তিনি আরও জানান, আশ্রয়ণ প্রকল্প থেকে মেন রোড পর্যন্ত কানেক্টেড রাস্তা নির্মাণসহ আশ্রয়ণ প্রকল্পের মানুষের জন্য এলাকায় একটি স্কুল ও একটি মসজিদ করা হলে তাদের সকল আশা পূরণ হতো। তাদের দাবি এসব সমস্যা সমাধানে স্থানীয় প্রশাসক দ্রুত ব্যবস্তা গ্রহণ করবেন।

টিবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর