সোমবার, ৬ মে, ২০২৪, ঢাকা

পাসপোর্ট অফিসে দুদকের অভিযান, অর্থসহ পরিছন্ন কর্মী আটক

জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২৮ নভেম্বর ২০২২, ০৮:১৩ পিএম

শেয়ার করুন:

পাসপোর্ট অফিসে দুদকের অভিযান, অর্থসহ পরিছন্ন কর্মী আটক

নীলফামারী আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে ছদ্মবেশে অভিযান চালিয়ে রুমি কুমার দাস নামের এক পরিছন্ন কর্মীকে আটক করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে এ অভিযান পরিচালনা করেন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় রংপুরের উপ সহকারী পরিচালক একে এম নুর আলম সিদ্দিকের নেতৃত্বে একটি টিম। এসময় আটক রুমি কুমার দাসের থেকে ৫৯ হাজার ১৩৭ টাকা,১৯ টি ডেলিভারি স্লিপ, ১টি পাসপোর্ট, একটি আবেদনপত্র  ও ১ টি জাতীয় পরিচয় পত্রসহ অনান্য কাগজপত্র জব্দ করা হয়।


বিজ্ঞাপন


রুমি কুমার দাস দিনাজপুর মধ্য বালুবাড়ি এলাকার কার্তিক কুমার দাসের ছেলে। তিনি ৫ বছর ধরে ওই অফিসে (আউট সোর্সিং) পরিছন্নতা কর্মী হিসেবে কাজ করছেন।

দুর্নীতি দমন কমিশন সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন সময় নানা সোর্চ ও অভিযোগের ভিত্তিতে ঢাকা অফিস থেকে নীলফামারী আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে অভিযান পরিচালনার জন্য নির্দেশ প্রদান করে একটি এনফোর্সমেন্ট টিম পাঠানো হয়। সকালে থেকে টিমটি ছদ্মবেশে অফিস এবং অফিসের আসে পাশে অবস্থান করে মনিটরিং করে। এক পর্যায়ে অফিসের পরিছন্ন রুমি চন্দ্র দাসকে নগত অর্থ পাসপোর্ট ও পাসপোর্ট শ্লিপ কপিসহ ধরতে সক্ষম হয়। এছাড়াও রুমি দাস একজন পরিছন্ন কর্মী হলেও তিনি কম্পিউটার অপেরাটরের কাজ করছিলেন এবং তার থেকে পাওয়া পাসপোর্ট ও ডেলিভারি স্লিপের মাধ্যমে এই টাকা নিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করেছে দুদক। এছাড়াও সেবা গ্রহীতাদের থেকে নানা অভিযোগ ও পেয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশন। 

এবিষয়ে অভিযুক্ত রুমি চন্দ্র দাসের দাবী সে গতকাল অফিসের পাম্পের কাজের জন্য টাকাটি ব্যাংক থেকে তুলেছেন। তবে এ বিষয়ে কোনো প্রমান দেখাতে পারেননি তিনি।

পরিছন্ন কর্মী হয়ে কেন কম্পিউটার অপেরাটরের কাজ করেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, অফিসে জনবল সংকট থাকায় আমাকে এ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এছাড়াও রোহিঙ্গা ফিঙ্গারপ্রিন্ট ভ্যারিফাইড কাজও আমি করি।


বিজ্ঞাপন


নীলফামারীর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক মোতাহার হোসেন বলেন, দুদকের একটি দল অভিযান পরিচালনা করেন। পরিচালনার সময় অফিসের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারীদের জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী রুমি দাসের থেকে কিছু টাকা ও কাগজ পত্র জব্দ করে। তবে একজন চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী কোন অনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে জরিত থাকলে তার দায় অফিস নিবেনা। এটার জন্য সে নিজেই দায়ী থাকবে। আর আমাদের জনবল সংকট থাকায় মাঝে মধ্যে তাকে দিয়ে কম্পিউটারে চিঠি লেখার কাজ করা হয়। 

দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় রংপুরের উপ সহকারী পরিচালক একে এম নুর আলম সিদ্দিক বলেন, আমরা ছদ্মবেশে দেড় থেকে ২ ঘন্টা এখানে দেখি। এক পর্যায়ে আমরা রুমি চন্দ্র দাস নামের একজনকে আটক করি। তার মানি ব্যাগ থেকে নগত ৬৯,১৩৭ টাকা ও ডেলিভারি স্লিপ, পাসপোর্ট সহ অনান্য কাগজপত্র জব্দ করা হয়। আপাতত তাকে আটক করা হয়েছে। হেড অফিসের নির্দেশে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

প্রতিনিধি/একেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর