বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

হেঁটে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া ভ্রমণে নেমেছেন বাবা-ছেলে

জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২৩ নভেম্বর ২০২২, ০৫:১১ পিএম

শেয়ার করুন:

হেঁটে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া ভ্রমণে নেমেছেন বাবা-ছেলে

পায়ে হেঁটে তেঁতুলিয়া থেকে টেকনাফ যাত্রাকারী বাবা-ছেলে এখন রংপুরে। সকালে রংপুরের পাগলাপীর থেকে রওয়ানা হয়ে মহাসড়ক হয়ে সিটি কর্পোরেশন, মিঠাপুকুর ও পীরগঞ্জ উপজেলা পেরিয়ে রাত্রী যাপন করবেন গাইবান্ধায়।


বিজ্ঞাপন


বুধবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে রংপুর জেলা অতিক্রম করার সময় দেখা মিলে তাদের সাথে। এ সময় প্রতিবেদকের সাথে কিছুক্ষণের যাত্রাবিরতিতে কথা হয়।

আলোকিত বাংলার স্বপ্নযাত্রা, আমরা করব জয়, স্লোগানে পায়ে হেঁটে ২০ নভেম্বর পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া থেকে কক্সবাজার জেলার টেশনাফের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন বাবা সাদেক আলী সরদার (৬৭) ও তার ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান (৩৭)। সাদেক আলী ও তার ছেলে মোস্তাফিজুর গাইবান্ধা শহরের বাসিন্দা। বাবা ছেলে সাদা টি-শার্ট এবং মাথা ক্যাপ করে পিঠে একটি ব্যাগ নিয়ে গল্প করতে করতে হেঁটে চলেন তারা।

বাবা ও ছেলে জানান, এটাই হবে তাদের সবচেয়ে দীর্ঘ পদযাত্রা। গন্তব্যে পৌঁছাতে আগামী ২০ দিনে তারা ১ হাজার ১৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেবেন। এ উদ্দেশ্যে যাত্রার দিন থেকে তারা প্রতিদিন ৫০-৬০ কিলোমিটার হাটেন। সকাল ৬ টা থেকে সাড়ে ৬ টার মধ্যে হাটা শুরু করেন। দুপুরে ২ টা থেকে ৩ টার মধ্যে বিরতি দিয়ে দুপুরের খাওয়া শেষ করেন। রাতে প্রায় প্রতিদিন রাত ১২ টা থেকে সাড়ে ১২ টার মধ্যে হাটা শেষ করেন। এভাবেই ২০ দিনে তেতুলিয়া থেকে হেটে টেকনাফ যাবেন বাবা ছেলে।


বিজ্ঞাপন


এর আগে, বাবা ছেলে গাইবান্ধা থেকে পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত টানা ২শ ২৬ কিলোমিটার হেঁটে যাওয়াসহ সিলেট থেকে জাফলং পর্যন্ত ৫০ কিলোমিটার পথ ভ্রমণ করেছেন। গাইবান্ধা শহরের বাসিন্দা সাদেক আলী সরদার চাকরি করছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে। ২০০৬ সালে অবসর গ্রহণ করেন তিনি। সেখানে চাকরি সুবাদে শরীর চর্চার অভ্যাস রয়ে গেছে তার। দীর্ঘদিনের স্বপ্ন তার লম্বা পথ হেটে পাড়ি দিবেন দেশান্তরে। সেই জায়গায় যাওয়ার আগেই শুরু করছেন হেঁটে চলার অনুশীলন। ভ্রমণ সঙ্গী হিসেবে যোগ দিয়েছেন তার ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান।

ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান ঢাকা মেইলকে বলেন, বাবার স্বপ্নপূরণে আমিও সঙ্গী হয়েছি। একই সঙ্গে দেশের বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করে নানা ধরণের অভিজ্ঞতা অর্জনও হচ্ছে। সেটি দেশ ও দশের স্বার্থে কাজে লাগাবো। তেঁতুলিয়া-টেকনাফের পদযাত্রা যেন সফল হয় এজন্য সবার দোয়া চেয়েছি আমরা।  শুধু তেঁতুলিয়া থেকে টেকনাফ নয়, আরও লম্বা পথ পাড়ি দেওয়ার স্বপ্ন রয়েছে। তিনি আরো বলেন, এটি শুধু হাঁটার জন্য হাঁটা না। আমরা এর মধ্যদিয়ে সমাজকে একটি বার্তা দিতে চাই, বাবা মায়ের সাথে ভালো সম্পর্ক থাকা জরুরী। ভালো সম্পর্ক থাকলে হাজার কিলোমিটার একসাথে হাঁটা যায়, আর ভালো সম্পর্ক না থাকলে এক কিলোমিটারও হাঁটা সম্ভব নয়।

সাদেক আলী সরদার ঢাকা মেইলকে বলেন, এক সময় চাকরি থেকে অবসর নিয়ে শরীরে নানা রোগ বাসা বেধেছিল। এরই মধ্যে কয়েক দফায় দীর্ঘপথ হাঁটাচলা করে অনেকটাই সুস্থ আছি। যেন শরীরের শক্তি বেড়েছে কয়েকগুণ। এমন চর্চা সবার দরকার। এতে শারীরিক মানষিক প্রশান্তি আসে। এছাড়াও সমাজের জন্য একটি বড় বার্তাও বটে। তিনি সব পরিবারের প্রতি আহবান জানান, সন্তানের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরী করার উচিত। তাহলে পরিবার ও সমাজ স্থিতিশীল থাকে।

প্রতিনিধি/ এজে

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর