বুধবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

১১ ড্রপিং পয়েন্টে ২৪ গাড়ি পার্কিং

জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২৩ নভেম্বর ২০২২, ০৪:৫২ পিএম

শেয়ার করুন:

১১ ড্রপিং পয়েন্টে ২৪ গাড়ি পার্কিং
ছবি : ঢাকা মেইল

বঙ্গবন্ধু কন্যার অপেক্ষায় যশোরবাসী। পাঁচ বছর পর আসছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। করোনা মহামারির পর এবং দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে প্রথম জনসভায় ভাষণ দেবেন তিনি। এজন্য চলছে প্রস্তুতিমূলক কর্মযজ্ঞ। উৎসবের আমেজ যশোরের প্রতিটি প্রান্তে।

আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) যশোরের শামস্-উল হুদা স্টেডিয়ামে বিশাল জনসভায় ভাষণ দেবেন শেখ হাসিনা।


বিজ্ঞাপন


জনসভায় যশোর ছাড়াও আরও ১০ জেলার নেতাকর্মীরা যোগ দেবেন। বিভিন্ন জেলা থেকে আগত গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা নির্ধারণ করে দিয়েছে প্রশাসন। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরবরাহকৃত পার্কিং পরিকল্পনায় ১১টি ড্রপিং পয়েন্টে ২৪টি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
  
আওয়ামী লীগ নেতাদের প্রত্যাশা প্রধানমন্ত্রীর জনসসভায় লাখ লাখ জনতার সমাগম হবে। শহরের প্রতিটি রাস্তায় থাকবে জনতার উত্তাল ঢেউ। খুলনা বিভাগের ১০টি জেলা ও ঢাকা বিভাগের গোপালগঞ্জ থেকে নেতাকর্মীরা এই সমাবেশে যোগ দেবেন বলে তারা আশা করছেন। 
 
প্রশাসনের পরিকল্পনা অনুযায়ী, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ থেকে আসা গাড়ি থামবে  যশোর শহরের ধর্মতলা বাসস্ট্যান্ড, ঘোপ নওয়াপাড়া রোড ও ঘোপ সেন্ট্রাল রোড ও কাঁঠালতলা। নেতাকর্মীদের নামিয়ে দিয়ে গাড়িগুলো পার্কিংয়ের হবে ছুটিপুর রোডের ধর্মতলা থেকে সুজলপুর জামতলা পর্যন্ত। এরমধ্যে ধর্মতলা মোড়ে নেমে আসা লোকজনের কারবালা হয়ে গ্যারেজ মোড় ও আপন মোড় হয়ে স্টেডিয়ামে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাছাড়া কাঁঠালতলায় নামা যাত্রীদের কাজীপাড়া, চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড বাজার হয়ে ডাক্তার আব্দুর রাজ্জাক কলেজে প্রবেশ করবে। আর কাঁঠালতলায় যাত্রী নামিয়ে গাড়িগুলো ঘোষপাড়া মসজিদ মাঠ, কাঁঠালতলা ঈদগাহ ও নান্টু মিয়ার বাগানে গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা করা হয়েছে।
  
ঘোপ নওয়াপাড়া রোডের নেমে আসা যাত্রীদের গাড়িগুলো হাউজিং মাঠ ও বাবলাতলা মাইক্রোস্ট্যান্ডে পাকিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। নেতাকর্মীরা সেন্ট্রাল রোড হয়ে হাসপাতাল মোড়, দড়াটানা, বঙ্গবন্ধু মুর্যাল, মুসলিম একাডেমি, পুরাতন কসবা পুলিশ অফিস হয়ে ডাক্তার আব্দুর রাজ্জাক কলেজ মাঠে প্রবেশ করবে। 

চৌগাছা থেকে আসা যাত্রীদের কাঁঠালতলায় নেমে নান্টু মিয়ার বাগানে গাড়ি রেখে কাঁঠালতলা কাজীপাড়া, ঘোপ নওয়াপাড়া ও চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড বাজার হয়ে ডাক্তার আব্দুর রাজ্জাক কলেজ মাঠে প্রবেশ করবে।

মাগুরা ও যশোরের বাঘারপাড়া থেকে আসা লোকজন নিউমার্কেট নেমে উপশহর ও নিউমার্কেটে গাড়ি রেখে জেলরোড, দড়াটানা, বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল, মুসলিম একাডেমি, পুরাতন কসবা ও পুলিশ অফিস হয়ে সভা মাঠে প্রবেশ করবে।
  
বেনাপোল ও সাতক্ষীরা থেকে আসা লোকজন চাঁচড়া মোড়ে নেমে শংকরপুর সার গোডাউন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর ও আদ দ্বীন মেডিকেল কলেজ এলাকায় গাড়ি পার্কিং করবে। তারা চাঁচড়া মোড় হয়ে মুজিব সড়ক, জজকোর্ট ও পৌরসভার গেট হয়ে জনসভাস্থলে পৌছাবে।

সাতক্ষীরা, বেনাপোল, শার্শা ও ঝিকরগাছার গাড়ি থেকে চাঁচড়া মোড়ে নেমে বাবলাতলা হতে মুরগি খামার পর্যন্ত গাড়ি পার্কিং করবে। ওই গাড়িগুলোর যাত্রীরা মুজিব সড়ক, জজকোর্ট, পৌরসভা হয়ে পুরাতন পুলিশ অফিসের সামনে দিয়ে আব্দুর রাজ্জাক কলেজ মাঠে প্রবেশ করবে।
  
মণিরামপুর ও কেশবপুরের লোকজন চাঁচড়া মোড়ে নেমে গাড়িগুলো আদ দ্বীন মেডিকেল কলেজ এলাকায় পার্কিং করবে। আর ওই গাড়িতে আসা নেতাকর্মীরা মুজিব সড়ক, জজকোর্ট, পৌরসভা হয়ে পুরাতন পুলিশ অফিসের সামনে দিয়ে আব্দুর রাজ্জাক কলেজ মাঠে প্রবেশ করবে।


বিজ্ঞাপন


এছাড়াও কেশবপুর ও মণিরামপুরের গাড়িগুলো শংকরপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে নেমে গাড়িগুলো টার্মিনাল ও মেডিকেল কলেজ এলাকায় পার্কিং করবে। তাছাড়া নেতাকর্মীরা মুরগি খামার, আশ্রম রোড, রাসেল চত্বর, সার্কিট হাউজ, জজকোর্ট মোড় হয়ে দড়াটানা, বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল, মুসলিম একাডেমি ও পুরাতন পুলিশ অফিস হয়ে আব্দুর রাজ্জাক কলেজ মাঠে প্রবেশ করবে। 

বাগেরহাট, খুলনা ও যশোরের অভয়নগরের গাড়িতে আসা নেতাকর্মীরা মণিহার এলাকায় নেমে গাড়িগুলো মণিহার হয়ে মুড়লী পর্যন্ত পার্কিং করবে। আর ওই গাড়িগুলোর নেতাকর্মীরা মণিহার, আরএন রোড, কোতোয়ালি থানা হয়ে দড়াটানা, বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল, মুসলিম একাডেমি ও পুরাতন পুলিশ অফিস হয়ে সভা মাঠে প্রবেশ করবে।
  
একইভাবে বাগেরহাট, খুলনা ও যশোরের অভয়নগরের গাড়ির নেতাকর্মীরা শংকরপুর বাবলাতলা নেমে যাবেন। ওই গাড়িগুলো নতুন টার্মিনাল, মেডিকেল কলেজ, বাবলাতলা হতে মুরগি ফার্ম পর্যন্ত পার্কিং করবে। তবে ওই গাড়িতে আসা নেতাকর্মীরা মুরগি খামার, আশ্রম রোড, রাসেল চত্বর, সার্কিট হাউজ, জজ কোর্ট মোড়, দড়াটানা, বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল, মুসলিম একাডেমি ও পুরাতন পুলিশ অফিস হয়ে ডাক্তার আব্দুর রাজ্জাক কলেজ মাঠে প্রবেশ করবে।
  
গোপালগঞ্জ, নড়াইল, বাঘারপাড়া ও যশোর সদর উপজেলার ফতেপুর এলাকার নেতাকর্মীদের গাড়িগুলো সিটি কলেজ মাঠে, মণিহার ও সদর উপজেলা পরিষদের অফিস মাঠে পার্কিং করবে। আর ওই সকল নেতাকর্মীরা মণিহার, আরএন রোড, কোতোয়ালি থানা, দড়াটানা, বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল, মুসলিম একাডেমি ও পুরাতন পুলিশ অফিস হয়ে সভা মাঠে প্রবেশ কবেন। 

যশোর ট্রাফিক বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান বলেন, যশোরে প্রধানমন্ত্রীর জনসভার দিন ট্রাফিক পুলিশ অন্যান্য দিনের তুলনায় বেশি তৎপর থাকবে। শহরে যাতে কোনো যানজটের সৃষ্টি না হয় এজন্য গাড়ি পাকিং রুট ম্যাপ করা হয়েছে। রোডম্যাপ অনুযায়ী কাজ করা হবে।

প্রতিনিধি/এইচই

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর