শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয়ে যশোর

জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২৩ নভেম্বর ২০২২, ০১:১৮ পিএম

শেয়ার করুন:

নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয়ে যশোর
ছবি : ঢাকা মেইল

উৎসবের আমেজ যশোরের প্রতিটি প্রান্তে। পাঁচ বছর পর আসছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। করোনা মহামারির পর এবং দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে প্রথম জনসভায় ভাষণ দেবেন তিনি। এজন্য চলছে প্রস্তুতিমূলক কর্মযজ্ঞ। এখন বঙ্গবন্ধু কন্যার অপেক্ষায় যশোরবাসী।

আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) যশোরের শামস্-উল হুদা স্টেডিয়ামে বিশাল জনসভায় ভাষণ দেবেন শেখ হাসিনা। ঐতিহাসিক এই ভেন্যুসহ পুরো শহর সমাবেশস্থলে পরিণত করতে গত ৭ দিন ধরে ব্যস্ত সময় পার করছেন দলটির নেতারা। তারা বলছেন, এই জনসভায় স্মরণকালের জনসমাগম ঘটবে। শেখ হাসিনার আগমনকে কেন্দ্র করে উৎসাহ-উদ্দীপনা এখন যশোরজুড়ে।


বিজ্ঞাপন


প্রধানমন্ত্রীর আগমনে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা জালে ঢাকা পড়েছে যশোর। সভামঞ্চ ঘিরে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা বসানো হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ)  স্টেডিয়াম নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। আর নিরাপত্তার প্রয়োজনে এসএসএফের দেওয়া ছক অনুযায়ী সাজানো হয়েছে যশোরকে। 

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যের উপস্থিতিতে তিন স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি হচ্ছে। এ বলয়ে যুক্ত করতে আশপাশের জেলা থেকেও আনা হচ্ছে র্যাপিড অ্যাকশান ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের সদস্য। সংস্কার শেষে নতুন সাজে সাজানো হয়েছে স্টেডিয়াম। 

জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে—জনসভা সফল করতে তিন ক্যাটাগরিতে থাকবে নিরাপত্তা বাহিনী। এই তিনটির মধ্যে সাদা পোশাকে থাকবেন যারা তারা চারিদিকে নজরদারির মাধ্যমে অপরাধীদের সনাক্ত করবেন। পোশাকে সার্বক্ষণিক নজরদারি করবে আর একটি গ্রুপ। রাস্তায় থাকবে থাকবে ট্রাফিক পুলিশ। এছাড়াও রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্স (আরআরএফ) ও আমর্ড পুলিশ ব্যটালিয়ন (এপিবিএন) থাকবে টহলে। 

এছাড়া র্যাপিড অ্যাকশান ব্যাটালিয়ন (র্যাব) থাকবে মঞ্চের আশপাশে নিরাপত্তার দায়িত্বে। 


বিজ্ঞাপন


সভামঞ্চের পাশে নির্মাণ করা ওয়াচ টাওয়ার থেকে পুরো এলাকা নজরদারিতে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমনে মোড়ে মোড়ে চেকপোস্ট বসিয়ে সন্দেহভাজনদের দেহতল্লাশি করা হবে বলেও জানা গেছে। আর সেই সন্দেহভাজনদের সনাক্ত করতে সাদা পোশাকধারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের সঙ্গে মিশে যাবে। আর এরই মধ্যে সনাক্ত করা সহজ হবে। 

পুরো জনসভাস্থলই থাকবে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার আওতায়। ওই সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে সব কিছুই অবলোকন করা হবে। 

এদিকে প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করে নিতে প্রস্তুত রয়েছে যশোরে আপামর জনসাধারণ। জেলার বিভিন্ন রাস্তায় তৈরি হয়েছে দৃষ্টিনন্দন তোরণ। মাইকিং, ব্যানার ও লিফলেটের সাহায্যে প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দফায় দফায় বৈঠক করছেন এবং জনসভাস্থলে যাচ্ছেন। স্বাভাবিকভাবেই প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন এসএসএফর এর সদস্যরা।

তবে পুরো জেলা জুড়ে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে যশোর জেলা পুলিশ। তাদের সাহায্য করবে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা এবং র্যাব । 

জেলা পুলিশের একটি সূত্রে জানা গেছে, যশোরের নয়টি থানার পুলিশ ছাড়াও বাইরের জেলা থেকেও আনা হচ্ছে বিপুল সংখ্যাক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য।

অপরদিকে প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে নিরাপত্তার স্বার্থে জেলার বিভিন্ন গেস্ট হাউজ, আবাসিক হোটেল-মোটেল, মেস ও বাসাবাড়ির দিকেও নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। 

যশোর জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পুলিশ পরিদর্শক মশিউর রহমান জানিয়েছেন, ফার্স্ট, সেকেন্ড ও থার্ড এই তিনটি ক্যাটাগরিতে কয়েক হাজার পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে।

প্রতিনিধি/এইচই

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর