প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে রঙিন হয়ে উঠেছে গোটা যশোর। শহরে বিভিন্ন স্থাপনায় লাল-নীল বাতিগুলোতে আলোর ঝর্ণাধারা বইছে। দিনের রঙিন সাজ আর রাতে দৃষ্টিনন্দন আলোকসজ্জ্বা যেন জানান দিচ্ছে—প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আসছেন যশোর স্টেডিয়ামে।
অন্যদিকে, যশোর স্টেডিয়ামে প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে ঘিরে জেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তুতি প্রায় শেষ।
বিজ্ঞাপন
কাঠ ও হার্ডবোর্ডের ফ্রেম করে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা গেইট তৈরির প্রস্তুতি চলছে। জেলা স্টেডিয়ামে কয়েক লাখ নেতা-কর্মীর সমাবেশ হবে। এজন্য জনসভাস্থলে পর্যাপ্ত খাবার পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি পর্যাপ্ত টয়লেট স্থাপন করা হচ্ছে। মাঠে মনিটরিং করার জন্য সিসি ক্যামেরা স্থাপনের কাজ চলছে। শৃঙ্খলা রক্ষায় মাঠে বাঁশে ব্যারিকেড দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া মাঠে পানি দিয়ে রোলার করে মাটি সমান করার কাজ করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর আগম ঘিরে যশোর শহর বিভিন্ন স্থাপনা ও ভাস্কর্যে ফিরে পেয়েছে প্রাণ। রাসেল চত্বর, ঈদগাহ মোড়, পালবাড়ি ভাষ্কর্য মোড়, স্টেডিয়াম রোডের ভাস্কর্যে লাল-নীল বাতিগুলোতে আলোর ঝর্ণাধারা বইছে। সন্ধ্যার পরে শহরবাসী এই সব স্থাপনার সামনে দাঁড়িয়ে সেলফি তুলে ফেসবুকে দারুন সব ক্যাপশন করে ছবি ফেসবুকে পোস্ট করছেন।
গতকাল শুক্রবার রাতে শহরে ঈদগাহ মোড়ে ভাস্কর্য সামনে দাঁড়িয়ে ইয়াসিন আরাফাত, জাহিদুর রহমান, পারভেজ তিন বন্ধু একত্রে দাঁড়িয়ে ছবি উঠাতে দেখা যায়। তারা বলেন, যশোরে প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে পুরো শহর পরিস্কার-পরিছন্ন লাগছে। মনে হচ্ছে নতুন করে আবারও সাজানো হচ্ছে। শহরের বিভিন্ন মোড়ের ভাস্কর্যগুলোতে বিভিন্ন রঙের সেজেছে। মনে হচ্ছে বহু বছর পরে শহরে আনন্দে মেতে উঠেছে।
বিজ্ঞাপন
শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাজ-সজ্জা উপপর্যদের সদস্য এসএম মাহমুদ হাসান বিপু বলেন, যশোর স্টেডিয়ামে প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে ঘিরে সকল ধরনের প্রস্তুতি প্রায় শেষের দিকে। কাঠ ও হার্ড বোর্ডের ফ্রেম করে প্যানা দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা গেট তৈরির প্রস্তুতি চলছে। জনসভাস্থলে জনসাধারণের জন্য পর্যাপ্ত খাবার পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি পর্যাপ্ত টয়লেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাঠে সিসি ক্যামেরা কাজ করছেন। মাঠে বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড করে বসার জায়গা তৈরি করার কাজ চলছে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর মঞ্চের সামনে নারীদের বসার জায়গা করা হয়েছে। তার পরের অংশে পুরুষেরা বসবেন। মাঠের রাজ্জাক কলেজ প্রান্তে পানি দিয়ে শেষ বারের মতো রোলার করে মাটি সমান করার কাজ চলছে।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানজীব নওশাদ পল্লব বলেন, ৫০ বছর আগে যশোর জেলা স্টেডিয়ামে ভাষণ দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেই জনসভায় প্রচুর মানুষের সমাগম হয়েছিলো। এবারও ধারণা করা হচ্ছে লাখ লাখ লোকের সমাগম হবে শহর জুড়ে।
স্টেডিয়াম পরির্দশনকালে মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথা শোনার জন্য অধীর আগ্রহে আপেক্ষা করছেন বৃহত্তর যশোরবাসী। স্টেডিয়াম প্রস্তুতি জনসভার জন্য। এই জনসভা সর্বকালের বৃহত্তর জনসভা হবে। লাখ লাখ লোক যশোরে আসবে প্রধানমন্ত্রীর কথা শুনতে।
এদিকে, আইনশৃঙ্খলার রক্ষায় যশোর পৌরপার্ক বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। পৌর পার্কের মধ্যে বিভিন্ন জায়গাতে বাঁশের ব্যারিকেড তৈরি করা হয়েছে। যাতে জনসাধারণ চলাচল করতে না পারে। অপরদিকে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা ঘিরে শহরের তোরণ, পোস্টার প্যানা না রাখার সিদ্ধান্ত হয় প্রশাসনের মিটিংয়ে। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিমানবন্দর থেকে যশোর স্টেডিয়াম পর্যন্ত জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের তোরণ, ব্যানার, পোস্টারে খুলে ফেলার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে।
প্রতিনিধি/এইচই
