শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

চিরকুটে ‘গাড়ি চাই’ লিখে জমির আবাদ নষ্ট করলো কারা

জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৬ নভেম্বর ২০২২, ১০:০২ পিএম

শেয়ার করুন:

চিরকুটে ‘গাড়ি চাই’ লিখে জমির আবাদ নষ্ট করলো কারা

রাজশাহীর বাঘায় চিরকুট লিখে ৯ চাষির জমিতে রোপন করা ক্ষেত নষ্ট করার ঘটনা ঘটেছে। কে বা কারা রাতের আধারে পেয়ারা গাছ, আমগাছ, মেহগনি গাছ, মরিচ, বেগুন ও হলুদের গাছ ও ফসল নষ্ট করেছে।

শনিবার দিবাগত রাতে দুর্বৃত্তরা বাঘা উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের টলটলিপাড়া ও ভেড়ালীপাড়া মাঠে রোপন করা আবাদ নষ্ট করে।


বিজ্ঞাপন


তবে রোববার (৬ নভেম্বর) সকালে নষ্ট করা ফসলের ক্ষেতে হাতে লেখা কাগজের চিরকুট পাওয়া যায়। চিরকুটে ‘মনি রতন শরিফুল শাকিম মেম্বার গাড়ি চাই’ লেখা দেখা যায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাঘার বাউসা ইউনিয়নের টলটলিপাড়া মাঠে ৯ জন চাষি পেয়ারা বাগান, আম বাগান, মরিচ, হলুদ ও বেগুন চাষ করেছেন। চাষিদের কেউ কেউ নিজের জমিতে আবার কেউ কেউ অন্যের জমি বর্গা নিয়ে আবাদ করেছেন।

কিন্তু ওইসব জমির কিছু গাছ কেটে, আবার কিছু গাছ উপড়ে ফেলা হয়েছে। নষ্ট করা হয়েছে খেঁজুর গাছের রস সংগ্রহের পাত্রও। আবার কিছু জমির হলুদ, পেয়ারা গাছ, আম গাছ, মরিচ ও বেগুনের গাছ কেটে নষ্ট করা হয়েছে। তবে জমিগুলোতে পলিথিনে মোড়ানো চিরকুট লিখে রেখে গেছে তারা। হাতে লিখা কাগজের চিরকুটে ‘মনি রতন শরিফুল শাকিম মেম্বার গাড়ি চাই’ লেখা আছে।

জানা যায়, দুর্বৃত্তরা চাষি আবুল কালাম ১৪টি ও সাহাবুদ্দিনের ৭টি পেয়ারা গাছ , শাহিন আলমের ২৫টি ও মুনসাদ আলীর ৫০টি মরিচ গাছ, বাবুল হোসেনের ৭ টি মেহগনি গাছ, ইনছার আলীর ১০টি বেগুন ও ৫টি পেঁপে গাছ, আমিরুল ইসলামের খেঁজুর গাছের রস সংগ্রহের ২০টি মাটির পাত্র, আব্দুল মান্নান ১টি আমগাছ, শহিদুল ইসলামের এক কাঠা হলুদের খেত নষ্ট করা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


জানতে চাইলে শহিদুল ইসলাম বলেন, কে বা কারা কি কারণে এমন ঘটনা করেছে সুনির্দ্দিষ্ট কোন কারণ জানতে পারি নি। ক্ষেতের মালিকরা নিজ নিজ জমিতে কাগজের চিরকুট দেখেন। কারো সাথে কোন শত্রুতা নেই, কে বা কারা এমন কাজ করেছে ভাবতে পারছি না। এই মাঠে গত বছরও কয়েকজন কৃষকের জমিতে চিরকুট লিখে এ ধরনের ক্ষতি করা হয়েছিল।

আবুল কালাম জানান, টলটলিপাড়া মাঠে প্রতি বিঘা ২০ হাজার টাকা দরে পাঁচ বিঘা জমি পাঁচ বছরের জন্য পাঁচ লাখ টাকায় লিজ নিয়ে পেয়ারার বাগান করেছেন। তার ক্ষেতে ১৪টি পেয়ারার গাছ কেটে নষ্ট করা হয়েছে। তিনি এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে এই আবাদ করেছেন। এতে তার অনেক ক্ষতি হয়েছে। এমন ঘটনায় আতংকিত বলেও জানান তিনি।

marich

বাঘা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, কৃষকরা এ বিষয়ে মোবাইলে জানিয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকের জমি পরিদর্শন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বিষয়টি জেনেছি। তদন্ত করে অপরাধী শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রতিনিধি/একেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর