বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

বাস বন্ধ, ট্রেনে সমাবেশে যাচ্ছেন বিএনপি নেতা-কর্মীরা

জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২৯ অক্টোবর ২০২২, ০১:৫৬ এএম

শেয়ার করুন:

বাস বন্ধ, ট্রেনে সমাবেশে যাচ্ছেন বিএনপি নেতা-কর্মীরা

বিএনপির রংপুর বিভাগীয় গণসমাবেশের দুদিন আগে পরিবহন ধর্মঘট আহ্বান করেছে জেলা মোটর মালিক সমিতি। সড়ক-মহাসড়কে হয়রানি ও অবৈধ যানবাহনের চলাচল বন্ধের দাবিতে আজ শুক্রবার ভোর ৬টা থেকে শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলবে এ ধর্মঘট।

এমন অবস্থায় আগামীকাল শনিবার বিএনপির গণসমাবেশে যেতে তৃণমূলের নেতা কর্মীরা নানা বিপত্তির মুখে পরলেও  সমাবেশের একদিন আগেই ঝুঁকি নিয়ে কোনোমতে উপচে পড়া ভিড়ে ট্রেনে করে যাচ্ছেন নীলফামারী বিভিন্ন এলাকার নেতা-কর্মীরা।


বিজ্ঞাপন


সরেজমিনের জেলার ডোমার রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে হাতে কাথা কম্বল নিয়ে শত শত নেতা কর্মীরা অপেক্ষায় করছে ট্রেনের। দলীয় স্লোগানে মুখরিত স্টেশন প্লাটফর্ম। খানিক বাদেই তিতুমীর এক্সপ্রেস ট্রেন আসলে ট্রেনের ওঠার প্রতিযোগিতায় মেতে যায় নেতা-কর্মীরা। সেইসঙ্গে অনান্যদের ট্রেনে ওঠার আহ্বান জানাচ্ছেন অনেকেই।

এদিকে একই চিত্র নীলফামারী রেলওয়ে স্টেশনে। পরিবহন বন্ধ থাকায় সেখানেও ছিল তুলনামূলক ভিড়। ট্রেনে জায়গা না থাকায় অনেককেই গেটের অতিরিক্ত স্থান ও ছাদে উঠতে দেখা গেছে সেখানে।

যে কোন প্রতিকুলতায় গণসমাবেশে যেতে হবে সে জন্যই একদিন আগেই নেতা-কর্মীদের এমন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে অনেকেই অভিযোগ করেন ধর্মঘট এটা একটি বাহানা৷ যদি অনিবার্য কারণেই ধর্মঘট হয় তাহলে কেন সারাদেশে একযোগে নয়? বিএনপি সমাবেশ ঘিরেই বা কেন।

জলঢাকা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি আবু সাঈদ শাকিল বলেন, সরকারের সব বাহানা টপকিয়ে আমার প্রায় ২০০ কর্মী সমাবেশে যোগ দিবে। অনেককেই আমি আগেই পাঠিয়েছি। আজ আমরা ৫০ জন একসঙ্গে ট্রেনের যাচ্ছি। যায়গা পাব না বলে সকালেই ডোমার রেলওয়ে স্টেশনে আসি। আলহামদুলিল্লাহ এখন যেতে পারলে রাতটা কোনোভাবে কাটিয়ে সমাবেশে যোগ দেব।


বিজ্ঞাপন


বিএনপির ডোমার উপজেলা শাখার  নেতা সোহাগ ইসলাম বলেন, শত শত নেতা কর্মী ট্রেনের জন্য আছি। বাস বন্ধ, কাল ট্রেন ও বন্ধ করতে পারে। এজন্য একদিন আগেই আমরা যাচ্ছি। ইনশা আল্লাহ সমাবেশটি মহাসমাবেশ হবে।

শাহিনুর ইসলাম বলেন, যতই বাধা দিক না কেন আমাদের ঠেকানো যাবেনা। রাতে সারারাত স্লোগান দিয়েই কাটাবো কাল সমাবেশে যোগ দিব।

নীলফামারী জেলা বিএনপির সভাপতি আলমগীর সরকার বলেন, সমাবেশ ঘিরে নেতা-কর্মীদের উৎসাহ উদ্দীপনার শেষ নাই। আমরা শতাধিক গাড়ির নিয়ে জেলা থেকে যেতে চেয়েছিলাম। তবে আওয়ামী লীগ সরকার বাহানা করে সমাবেশ বানচাল করার লক্ষ্যে এই ধর্মঘট দিয়েছে। তবে এই অঞ্চলের জিয়াপ্রেমী নেতা-কর্মীরা দুইদিন আগে থেকেই সমাবেশে যাওয়া শুরু করেছে। আজ ট্রেনে শতাধিক নেতা-কর্মী গেছেন। বাস বন্ধ করেছে তো কী হয়েছে, ট্রেন তো আছে। ট্রেন বন্ধ করলে পায়ে হেঁটে সমাবেশে যাব ইনশাআল্লাহ।

আগামীকাল শনিবার বিএনপির রংপুর বিভাগীয় গণসমাবেশ রংপুর কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে বিএনপির এই সমাবেশের জন্য চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি। সমাবেশের আগে ধর্মঘটের উপেক্ষা করে সর্ববৃহৎ জনসমাগম করার টার্গেট নেতা-কর্মীদের।

এদিকে সমাবেশ ঘিরে কদিন ধরেই রংপুরে অবস্থান করছেন ওই গণসমাবেশের সমন্বয়কারী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

তিনি বলেন, বিভিন্ন বাধার মধ্যেই গণসমাবেশে আসার জন্য মানুষ উদগ্রীব হয়ে আছে। বুধবার থেকেই আমাদের নেতা-কর্মীরা রংপুরে আসতে শুরু করেছেন। গতকাল রাতেও কয়েক হাজার নেতা-কর্মী ও সমর্থক এসেছেন। যত বাধাই আসুক মানুষ সমাবেশে উপস্থিত হবে। আমরা ধর্মঘট নিয়ে চিন্তিত না।গণসমাবেশে যে জনস্রোত হবে, তা আর আটকানো যাবে না। সমাবেশ যেকোনো মূল্যে সফল করা হবে।

প্রতিনিধি/আরআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর