পারিবারিক কলহের জের ধরে মঙ্গলবার রাতে স্ত্রী কুলসুম আক্তারের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা জড়িয়ে পড়েন স্বামী সাইফুল ইসলাম আকতার। একপর্যায়ে স্ত্রীকে বেধড়ক মারধর করেন সাইফুল। সারারাত রক্তাক্ত শরীর নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন স্ত্রী। এরপর বুধবার (১৯ অক্টোবর) স্থানীয়রা মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে চর কচ্ছপিয়া গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যান। সেখানকার দায়িত্বরত চিকিৎসক দ্রুত তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে-বাংলা (শেবাচিম) হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন।
স্বজনরা মুমূর্ষু অবস্থায় কুলসুমকে নিয়ে বরিশাল শেরে-বাংলার উদ্দেশে রওনা দেন। দুপুর ২টার দিকে ভোলার ভেদুরিয়া লঞ্চঘাটে অ্যাম্বুলেন্সে কুলসুমের মৃত্যু হয়।
বিজ্ঞাপন
দক্ষিণ আইচা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাখাওয়াত হোসেন বুধবার রাত ৯টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
কুলসুম আক্তার ভোলা চরফ্যাশন উপজেলা দক্ষিণ আইচা থানা সংলগ্ন এলাকা চর মানিকা ইউনিয়ন চর কচ্ছপিয়া গ্রামের সাইফুল ইসলাম আকতারের স্ত্রী ছিলেন। বিবি খাদিজা নামে তাদের আড়াই বছর বয়সী এক কন্যা শিশু রয়েছে।
ঘটনার পর আজ বিকেলে অভিযান চালিয়ে পুলিশ কুলসুমের শ্বশুর কাজল দালালকে গ্রেফতার করেছে। তবে এখন পর্যন্ত ঘাতক স্বামী সাইফুল ইসলাম আকতারকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহত কুলসুমের বাবা আব্দুল মজিদ জামাই সাইফুল ইসলাম আকতারকে প্রধান আসামি করে দক্ষিণ আইচা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
বিজ্ঞাপন
দক্ষিণ আইচা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাখাওয়াত হোসেন জানান, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় কুলসুমের শ্বশুরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘাতক স্বামী সাইফুল ইসলাম আকতারকে গ্রেফতারের অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
প্রতিনিধি/একেবি

