বরিশাল নগরীতে এক নারীর সাথে শারীরিক সম্পর্কের ঘটনার মামলায় মেট্রোপলিটন পুলিশের স্টীমারঘাট ফাড়ির ইনচার্জ এসআই আবুল বাশারকে (৪৭) গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। শনিবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে আদালত আবুল বাশারকে জেল হাজতে প্রেরণ নির্দেশ দিয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আজিমুল করিম। তিনি জানান, এসআই আবুল বাশারের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছেন এক নারী। এই মামলায় দুপুরে তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে নেয়া হয়েছে। আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ নির্দেশ দেন।
বিজ্ঞাপন
গ্ৰফতার এসআই মো. আবুল বাশার বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার বিহারীপুর এলাকার আ: জলিল খানের ছেলে। মামলা দায়েরকারী ভুক্তভোগী ওই নারী (৩৭) বরিশাল মেট্রোপলিটনের এয়ারপোর্ট থানাধীন কাশিপুরের ইছাকাঠী এলাকার বাসিন্দা।
তিনি আরো জানান, ৫ অক্টোবর আবুল বাশারের সঙ্গে একটি অভিযোগের বিষয়ে আলাপ করতে গিয়ে পরিচয় হয় বাদীর। তখন দুজনের মধ্যে মোবাইল নম্বর আদান-প্রদান হয়। বৃহস্পতিবার ১৩ অক্টোবর অন্য একটি মামলার বিষয়ে কথা বলতে বাশারকে ফোন করেন বাদী। তখন তার অবস্থান জানতে চান বাশার।
বাদী তার অবস্থান জানালে এসআই বাশার সেখানে যান। সেখান থেকে তিনি বিকেল ৪টার দিকে বাদীকে নগরীর প্যারারা রোডের একটি হোটেলে নিয়ে যান। ওই হোটেলের ২০৪ নম্বর কক্ষে নিয়ে বাশার ওই নারীকে ধর্ষণ করেন। পরে বিকেল ৫টার দিকে হোটেল থেকে ভুক্তভোগী বের হয়ে আসেন এবং নিকটাত্মীয়দের সঙ্গে আলোচনা করে থানা পুলিশের দারস্থ হন।
এছাড়া আবুল বাশার মহানগর গোয়েন্দা পুলিশে কর্মরত থাকা অবস্থায় সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় সাময়িক বরখাস্তও হয়েছিলেন।
বিজ্ঞাপন
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম জানান, এসআই আবুল বাশারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে ও তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হবে।
এজে