মিথ্যা মামলা দায়ের, বাদিকে ৭ দিনের সাজা 

এমনকি মামলার ভিকটিম বাদির স্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও তিনি তাকে আদালতে সাক্ষী হিসেবে আনতে পারেননি। শুধু তাই নয়, বাদির দুজন সাক্ষী আদালতে এসে আসামিদের পক্ষ নিয়ে বলেছেন। 

ঘটনার দিন চারজন আসামির দুজন ঘটনাস্থলেই ছিলেন না, তারা সেদিন অন্য জেলায় কাজ করতে গিয়েছিলেন। ঘটনার দিন বরং আসামিরাই আক্রান্ত হয়েছিলেন বলেও সাক্ষীরা জানান। 

বাদির সাক্ষীরা আসামিদের পক্ষাবলম্বন করে সাক্ষ্য দিতে এসেছেন, এমনটি জানার পরও বাদির আইনজীবী তাদের জেরা করেননি।

সাক্ষ্যপ্রমাণ, তদন্তকারীর প্রতিবেদন এবং উভয়পক্ষের বক্তব্য অনুসন্ধানে আদালতের কাছে স্পষ্ট হয়, আসামিদের দায়ের করা একটি মামলার পাল্টা শোধ হিসেবে বাদি মামলাটি করেছেন। 

জানা যায়, গত ২২ জুন রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল। সেদিন আদালতে বাদি আবুল কাশেম অনুপস্থিত ছিলেন। একইসঙ্গে আদালত তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন। আনীত অভিযোগ মিথ্যা ও হয়রানিমূলক প্রমাণিত হওয়ায় আসামিদের প্রত্যেককে বাদি কেন ক্ষতিপূরণ প্রদান করবেন না এবং বাদিকে কেন মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দায়েরের জন্য কারাদণ্ড দেওয়া হবে না তা জানতে চান আদালত। 

বৃহস্পতিবার ধার্য তারিখে বাদি এক ব্যাখ্যা আদালতে দাখিল করেন, যা সন্তোষজনক না হওয়ায় তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। 

প্রতিনিধি/এইউ