শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

বগুড়ার সেই ইউএনওকে বর্জনের ঘোষণা

জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৯:০১ পিএম

শেয়ার করুন:

বগুড়ার সেই ইউএনওকে বর্জনের ঘোষণা

স্বেচ্ছাচারিতামূলক আচরণসহ নানা অভিযোগ তুলে বগুড়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সমর কুমার পালকে বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন উপজেলা পরিষদের সদস্যরা। সেই সঙ্গে ইউএনওকে প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত পরিষদের সদস্যরা কোনো সভায় যোগদান করবেন না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু সুফিয়ান শফিক ঢাকা মেইলকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।


বিজ্ঞাপন


আবু সুফিয়ান শফিক বলেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সমর কুমার পালের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তদন্ত করে তাকে প্রত্যাহারের জন্য সোমবার জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার বরাবর একটি অভিযোগ পাঠানো হয়েছে। এই ইউএনও যতদিন পর্যন্ত বদলি না হবেন ততদিন পরিষদের সদস্যরা কোনো কর্মসূচিতে অংশ নেবেন না। আমরা আশা করছি- পরিষদের কর্মকাণ্ড স্বাভাবিক রাখতে দ্রুত তাকে প্রত্যাহার করা হবে।

এদিকে, বগুড়া সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ছাড়াও দুইজন ভাইস চেয়ারম্যানসহ ১১ জন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান স্বাক্ষরিত ওই অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, সমর কুমার পাল বগুড়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করার পর থেকেই পরিষদের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়াও ইউপি চেয়ারম্যানদের সঙ্গে স্বেচ্ছাচারিতামূলক আচরণ করে আসছেন। তিনি সময়মতো অফিসে বসেন না এবং সরকারি সিদ্ধান্ত অমান্য করে গভীর রাত পর্যন্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অফিসে থাকতে বাধ্য করেন।

অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, ইউএনও সমর কুমার পাল বিনা প্রয়োজনে ইউপি চেয়ারম্যানদের যখন-তখন অফিসে ডাকেন এবং ফাইল দিনের পর দিন আটকে রেখে অনৈতিক সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করেন। এমন সব স্বেচ্ছাচারিতামূলক আচরণ পরিবর্তনের জন্য ইউপি চেয়ারম্যানরা ইউএনওর সঙ্গে একাধিকবার আলোচনা করলেও কোনো পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়নি। এছাড়াও গত ২২ সেপ্টেম্বর রাতে উপজেলা প্রকৌশল অফিসের নৈশ প্রহরী আলমগীর শেখকে নিজ অফিসে ডেকে নিয়ে বেদম মারপিট করে গুরুতর আহত করেন। যা বিভিন্ন মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারও হয়েছে। এমনকি এ ঘটনার পর ইউএনও তার অফিসিয়াল ফেসবুকে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যও পোস্ট করেছেন, যার মাধ্যমে উপজেলা পরিষদের মর্যাদা ও সুনাম ক্ষুণ্ণ করা হয়েছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

এসব বিষয়ে ইউএনও সমর কুমার পালের সঙ্গে কথা হলে তিনি ঢাকা মেইলকে বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান ডিসি অফিসে গেছেন শুনেছি। তবে কেন গেছেন তা আমার জানা নেই।


বিজ্ঞাপন


নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আলমগীরের বিষয়টি যেহেতু তদন্তাধীন তাই সে বিষয়ে কিছু বলা উচিৎ হবে না। আর অন্য যে অভিযোগ তারা করেছেন, তার কোনো ভিত্তি বা সত্যতা নেই।

/আইএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর