শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ঢাকা

ইপিআই কর্মসূচিতে এবারও দেশসেরা রাসিক

জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৭:৫৪ পিএম

শেয়ার করুন:

ইপিআই কর্মসূচিতে এবারও দেশসেরা রাসিক

সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচিতে (ইপিআই) ইলেকট্রনিক ইমুনাইজেশন কার্যক্রম বাস্তবায়নে শতভাগ সফলতা অর্জন করেছে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন (রাসিক)। এ নিয়ে জাতীয়ভাবে ইপিআই কর্মসূচিতে টানা দশবার দেশসেরা হলো রাসিক। 

সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাসিকের সিটি হলরুমে অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায় বিষয়টি ঘোষণা দেওয়া হয়। 


বিজ্ঞাপন


শতভাগ ইলেকট্রনিক ইমুনাইজেশন ঘোষণা এবং রাজশাহী বিভাগের চলমান ইপিআই কার্যক্রম পৌরসভাসমূহের মেয়রদের উদ্বুদ্ধকরণে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের (রাসিক) মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন এলাকায় শতভাগ ইলেক্ট্রনিক ইমুনাইজেশন একটি অন্যন্য দৃষ্টান্ত। শিশুর জন্ম নিবন্ধন তার অধিকার। সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে বেড়ে উঠাও শিশুর অধিকার। শিশুর এই অধিকার বাস্তবায়নে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন বদ্ধপরিকর। 

‘ইপিআই কার্যক্রম বাস্তবায়নে শুরু থেকে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নিখুঁতভাবে কাজ করে আসছে। তারই সফলতা স্বরূপ জাতীয়ভাবে ইপিআই কর্মসূচিতে পরপর দশবার রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন দেশসেরা হয়েছে।’


বিজ্ঞাপন


রাসিক মেয়র বলেন, ২০১৯ সালের ২৯ এপ্রিল ইলেকট্রনিক ইপিআই রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমে আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করি। আমরা ইলেকট্রনিক ইপিআই রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে সকল শিশুকে টিকার আওতায় আনতে পেরেছি। টিকাদানের মাধ্যমে ১০টি রোগ থেকে আমাদের শিশুদের নিরাপদ রাখতে পেরেছি। 

এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সরকারের ইপিআই প্রোগ্রাম ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আমাদের সহযোগিতা প্রদান করেছে। এজন্য তাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। একই সাথে রাসিকের কাউন্সিলর ও স্বাস্থ্য-বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান মেয়র। 

স্বাস্থ্য সেবায় রাসিক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে উল্লেখ করে মেয়র লিটন বলেন, স্বাস্থ্যসেবা, পরিচ্ছন্নতা ও বায়ুদূষণ রোধে রাসিক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। করোনাকালে সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সব সময় মাঠে ছিল। সেসময় জনসচেতনা সৃষ্টি, খাদ্য বিতরণ, নগদ অর্থ বিতরণ, বিনামূল্যে অক্সিজেন সেবা প্রদানসহ টিকাপ্রদান কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়েছিল। ওয়ার্ডবাসীর স্বাস্থ্যসেবায় নগরীর ১৪টি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র, ২টি মাতৃসদন ও একটি সিটি হাসপাতাল রয়েছে। রাসিকের পরিচালনায় এসব প্রতিষ্ঠানে স্বল্প খরচে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয় বলেও জানান তিনি। 

প্রতিনিধি/এএ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর