মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর দেওয়ার আশ্বাসে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ

জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৫:১৪ পিএম

শেয়ার করুন:

আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর দেওয়ার আশ্বাসে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ
অভিযুক্ত নায়েব হরমুজ আলী (ফাইল ছবি)

শেরপুরের শ্রীবরদীতে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাসে ২৫ বছর বয়সী এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক তহসিলদারের (নায়েব) বিরুদ্ধে। এছাড়া ঘর পেতে ওই নারীর কাছে এক লাখ টাকা দাবি করারও অভিযোগ ওঠে ওই নায়েবের বিরুদ্ধে।

শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার খড়িয়া কাজিরচর নতুন বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূ শ্রীবরদী উপজেলায় বসবাস করেন।


বিজ্ঞাপন


ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হলে গত শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ভিকটিম ও তার পরিবারকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। 

তবে এসব অভিযোগ মিথ্যা দাবি করেন অভিযুক্ত নায়েব হরমুজ আলী। তিনি শ্রীবরদী উপজেলার খড়িয়া কাজিরচর ভূমি অফিসে নায়েব হিসেবে কর্মরত আছেন।

ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূ অভিযোগ করে বলেন, 'আমি গরিব মানুষ। ম্যালা (অনেক) মানুষের কাছে গেছি, এডা (একটি) ঘরের জন্য, কিন্তু কেউ দেই নাই। পরে মাইনষের (মানুষের) কাছে হুইনি (শুনে) আমগোর নায়েবের (তহসিলদার) কাছে গেছিলাম, অই বেডা ঘর দেয়ার জন্য এক লাখ ট্যাহা চায়, কিন্তু আমি গরিব মানুষ, এতো ট্যাহা কয় পামু। পরে খুব কষ্ট কইরি (করে) ৫০ হাজার ট্যাহা নায়েব বেডার কাছে দেই। তহন (তখন) আরও ৫০ হাজার ট্যাহা চা। এরপর আমার মোবাইল নাম্বার নিয়ে রাত-বিরাতে মাঝেমধ্যেই ফোন করে।' 

'আইজকে (২৩ সেপ্টেম্বর) রাইতে ফোন করে আমার ঘরে আহে (আসে), আইয়া হাইরেই (এসেই) আমারে জোর কইরি (করে) ধইরেই (ধরে) ইজ্জত নষ্ট করে। পরে আমি আব্বা-আম্মারে ডাক দিলে তারা অই ঘর থনে (থেকে) আহে (আসে)। এর মধ্যেই নায়েব বেডা দৌড় মাইরা যায়গা। আর আমার ঘরের মধ্যে তার জুতা, কলম রাইখি যায়।'


বিজ্ঞাপন


ওই গৃহবধূর বাবা বলেন, 'আমি শব্দ শুনে ঘর থনে বাড়ায়, এসময় নায়েব আমারে ঘুষি মাইরি মোটরসাইকেল রাইখি টিনের বেড়া ভাংগি পালায় যায়গা। আমি এর বিচার চাই।' 

খড়িয়া কাজিরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. দুলাল মিয়া ঢাকা মেইলকে বলেন, ভিকটিমের কাছে যেসব কথাবার্তা শুনেছি এবং তিনি যেসব কল রেকর্ড শুনিয়েছেন তাতে ঘটনাটি সত্যি বলে মনে হয়েছে। তবে এই ঘটনাটি তদন্ত সাপেক্ষে দোষীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।

চেয়ারম্যান আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘর দিতে কোনো টাকা-পয়সা নেওয়ার প্রশ্নই উঠে না। কেউ যদি প্রধানমন্ত্রীর ঘর দেওয়ার কথা বলে টাকা-পয়সা নেয়, তার বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।

শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস ঢাকা মেইলকে বলেন, খবর পেয়ে রাতেই ভিকটিমের বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল, কিন্তু তারা আসেননি। পরে আরও দুইবার পুলিশ পাঠানো হয়, তারা তাও থানায় আসেনি। এরপর শনিবার সন্ধ্যায় পুলিশ পাঠিয়ে তাদের থানায় আনা হয়। তারা যদি অভিযোগ দেন অবশ্যই তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

প্রতিনিধি/এমআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর