বান্দরবান-চট্টগ্রাম সড়কের লাল ব্রিজ থেকে হলুদিয়া— ১৩ কিলোমিটার পর্যন্ত দুই পাশে ফুটে আছে লাল, হলুদ সাদা বিভিন্ন রঙের ফুল। সকালের সোনা রোদের আলো ঝলমলে আঁকা-বাঁকা সবুজ পাহাড়ের পথের ধারে এই দৃশ্য চোখে পড়ার মতো।
বান্দরবান বনবিভাগের রোপণ করা এসব ফুল এখন সড়কের শোভাবর্ধন করছে। পর্যটন নগরীর এই সড়কে বিভিন্ন প্রজাতির ফুল (কৃঞ্চচূড়া, রাঁধাচূড়া, কাঞ্চন) দেখে মনে হবে যেন, তারা পর্যটকদেরকে স্বাগত জানাচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বান্দরবান বন বিভাগ সদর রেঞ্জ পর্যটন নগরীতে প্রবেশ পথে বিভিন্ন ফুল ও ঔষধী শোভা বর্ধক বৃক্ষের মাধ্যমে নান্দনিকতা তৈরীর এই উদ্যোগ গ্রহণ করে।
বিজ্ঞাপন
সুয়ালক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান উক্যনু মার্মা বলেন, বান্দরবান টু চট্টগ্রাম সড়ক প্রশস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি বান্দরবান বন বিভাগ সড়কের দুইধারে বিভিন্ন ফুলের চারা লাগিয়েছে। এখন রাঁধাচূড়া, কাঞ্চন ফুল ফুটে সড়কের সৌন্দর্য আরও বৃদ্ধি পেয়ে পর্যটকদের দৃষ্টি কাড়ছে।
বান্দরবান বন বিভাগ সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপির পরিকল্পনায় প্রথমে ২০১১-১২ সালে বান্দরবান-চট্টগ্রাম সড়কের দুইধারে ছয়শটি বিভিন্ন প্রজাতির ফুল ও ঔষধী গাছের চারা রোপণ করা হয়। এরপর ২০১৯-২০ অর্থবছরে হলুদিয়া থেকে লালব্রিজ ১৩ কিলোমিটার সড়কের দুইধারে তের হাজার কৃঞ্চচড়া, রাঁধাচূড়া, কাঞ্চনসহ বিভিন্ন ফুলের চারা লাগানো হয়। এখন রাঁধাচূড়া আর কাঞ্চন ফুটেছে। সূর্যের ঝলমল আলোতে দেখতে অসাধারণ লাগছে। তিনি জানান, রাঁধাচূড়া লাল, হলুদ ও সাদা রঙের হয়ে থাকে।
বান্দরবান বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা হক মাহাবুব মোর্শেদ জানান, বান্দরবান টু চট্টগ্রাম সড়কের দুইধারে কৃঞ্চচূড়া, রাঁধাচূড়া, কাঞ্চনসহ নয় প্রজাতির বিভিন্ন ফুলের চারা লাগানো হয়েছিল। সড়ক বিভাগ সড়ক সম্প্রসারণ ও ড্রেন নির্মাণ কাজ করতে গিয়ে অনেক ফুলের গাছ নষ্ট হয়েছে। আবারো লাগানো হচ্ছে। ফুলের চারাগুলো পরিচর্চা করার জন্য বনবিভাগ থেকে ৫ জন লোক নিয়োজিত আছেন। এখন রাঁধাচূড়া, কাঞ্চন ফুটতে শুরু করেছে। এতে সড়কের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেয়ে পর্যটন নগরীকে সমৃদ্ধ করেছে।
প্রতিনিধি/এএ