বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

ডাক্তার ও নার্সের বিরুদ্ধে গর্ভবতী নারীকে মারধরের অভিযোগ

জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৩:৩৯ পিএম

শেয়ার করুন:

ডাক্তার ও নার্সের বিরুদ্ধে গর্ভবতী নারীকে মারধরের অভিযোগ

লক্ষ্মীপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের (মাতৃমঙ্গল) মেডিকেল অফিসার (চিকিৎসক) রুবিনা আক্তারসহ নার্স-কর্মচারীর বিরুদ্ধে পপি বেগম নামে এক গর্ভবতী নারীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চিকিৎসক রুবিনার নাম উল্লেখ ও ৫ জনের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। এতে তার গর্ভের সন্তানকে জারজ বলার অভিযোগ করা হয় ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। অভিযোগ পেয়ে সদর থানা পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে মাতৃমঙ্গল হাসপাতাল পরিদর্শন করেন।


বিজ্ঞাপন


পপি বেগম সদর উপজেলার পালের হাট এলাকার ফল ব্যবসায়ী মো. ইসমাইল হোসেনের স্ত্রী ও এক সন্তানের জননী।

অভিযোগ সূত্র জানায়, ৭ মাসের প্রসূতি সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গর্ভবতীর টিকা দেওয়ার জন্য মাতৃমঙ্গলে আসেন। পরে কাউন্টার থেকে টিকার কার্ড নিয়ে চিকিৎসক রুবিনার রুমে যান তিনি। এ সময় কার্ডে বয়স ভুল উল্লেখ করে পেটে জারজ সন্তান রয়েছে বলে তার সঙ্গে অশ্লিল ভাষা ব্যবহার করে চিকিৎসক। এতে প্রতিবাদ করায় চিকিৎসক রুবিনা, নার্স শামিমা নাসরিন ও পিয়ন আলম তাকে কিল-ঘুষি মারে। এতে তার গর্ভের সন্তানের বড় ধরণের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।

পপি বেগম ঢাকা মেইলকে জানান, ডাক্তার রুবিনা আমার গর্ভের সন্তানকে জারজ বলেছে। এতে প্রতিবাদ করায় নার্স-কর্মচারীসহ আমাকে মারধর করেছেন। আমার গর্ভের সন্তান ঝুঁকিতে রয়েছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই। এছাড়া তার সঙ্গে খুব খারাপ আচারণ করছে। 

হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. নুরুজ্জামান ও নার্স শামিমা নাসরিন জানায়, প্রসূতি গর্ভবতী হওয়ার তারিখ ভুল ছিল। এটি বলায় তিনি  চিকিৎসক রুবিনার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে জুতা হাতে নিয়ে মারার জন্য তেড়ে যান। এ সময় নার্স শামিমা ও পিয়ন আলম চিকিৎসককে রক্ষা করেন। পরে প্রসূতিকে বের হয়ে যেতে বলেন। তাকে কেউ মারেনি। তিনি মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছেন।


বিজ্ঞাপন


চিকিৎসক রুবিনা আক্তার বলেন, ওই প্রসূতির টিকা কার্ডে তারিখ ভুল লিখেছিলেন। সঠিক তারিখ জানতে চাইলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। তার সঙ্গে আমি কোন খারাপ আচরণ করিনি। তাকে মারধরও করা হয়নি। সেই আমাকে মারতে আসলে শাশিমা ও আলম নারীকে হাসপাতাল থেকে বের করে দেয়।

লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বেলায়েত হোসেন বলেন, ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগ পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথাও বলা হয়েছে। চিকিৎসকরা সরকারি চাকরি করেন। এ বিষয়ে উভয়পক্ষকে বিকেলে থানায় আসার জন্য বলা হয়েছে।

এজে

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর