একটি হত্যা মামলার আসামি হয়ে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরের বুজরুক জামালপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুল হাই তিন বছর ধরে পলাতক রয়েছে। তবে ওই শিক্ষকের বেতন-ভাতাদি উত্তোলন করে চলেছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম (মৌলভী)। তার বিরুদ্ধে একাধিক দফতরের অভিযোগ করা হলে নিরবে রয়েছে সংশ্লিরা। এমন অভিযোগ স্থানীয়দের।
রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সরেজমিনে ওই বিদ্যালয় এলাকায় দেখা যায়, স্থানীয়দের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। এ দুর্নীতির আশ্রয় নেওয়ায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকরে অপসারণের দাবি জানায় এলাকাবসী।
বিজ্ঞাপন
জানা যায়, জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে গত ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর রাতে সাদুল্লাপুর উপজেলার চিকনী গ্রামের এমদাদুল হকের স্ত্রী মমিনা বেগমকে সহকারী শিক্ষক ও চাঁদ করিম গ্রামের আব্দুল হাইসহ তার লোকজন হত্যা করে। এ মামলায় প্রধান আসামি হয়ে তখন থেকে আব্দুল হাই পলাতক রয়েছে।
এদিকে, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম সংশ্লিষ্টদের যোগসাজসে আব্দুল হাইকে হাজিরা খাতায় ও বিল সিটে স্বাক্ষর দেখিয়ে তার নামের বেতন-ভাতা উত্তোলন করে চলেছে।
অপরদিকে, সহকারী শিক্ষক আব্দুল হাই প্রায় তিন বছর ধরে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকায় পাঠদান কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এ নিয়ে অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও স্থানীদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। এ বিষয়ে অন্যান্য শিক্ষক-কর্মচারীরা ইউএনও বরাবরে অভিযোগ দাখিল করে।
এ বিষয়ে বুজরুক জামালপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম জানান, বিদ্যমান পরিস্থিতে সম্প্রতি সহকারী শিক্ষক আব্দুল হাইকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়াসহ তাকে সাময়িক বরাখাস্ত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সাদুল্লাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. রোকসানা বেগমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বিজ্ঞাপন
প্রতিনিধি/এইচই