বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

ভুল প্রবেশপত্রে পাঁচ পরীক্ষা, অবশেষে সমাধান করলেন ইউএনও

জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১০:১৮ পিএম

শেয়ার করুন:

ভুল প্রবেশপত্রে পাঁচ পরীক্ষা, অবশেষে সমাধান করলেন ইউএনও

বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র শিপন আলী। তবুও মানবিক বিভাগের প্রবেশপত্র নিয়ে ইতোমধ্যে পাঁচটি বিষয়ে পরীক্ষা সম্পন্ন করেছেন তিনি। কিন্তু এবিষয় শিক্ষার্থী, শিক্ষক, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, অভিভাবক কেউ টের পাইনি। হঠাৎ পদার্থ বিজ্ঞান পরীক্ষার আগের রাতে (শুক্রবার) এবিষয়ে টের পান ওই পরীক্ষার্থী। টের পেয়ে দুশ্চিন্তায় মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন।

এরপর বিষয়টি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জানালে শিক্ষকরা মানবিক বিষয়ে পরীক্ষার জন্য পরামর্শ দেন। এতে আরো ভেঙে পড়েন ওই শিক্ষার্থী। পরে দিশেহারা হয়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে ওই রাতেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মোবাইলে কল দেন। শিক্ষার্থীর আকুতি মিনতি বুঝতে পেরে তাঁকে আশ্বস্ত করেন ইউএনও। এবং ইউএনওর সফল প্রচেষ্টায় আজ শনিবার বিজ্ঞান বিভাগের পদার্থ বিজ্ঞান পরীক্ষা সম্পন্ন করেন ওই পরীক্ষার্থী।


বিজ্ঞাপন


ঘটনার শিকার ওই পরীক্ষার্থী মো. শিপন কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার জে এন মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি -২০২২ এ অংশগ্রহণ করেছেন। তিনি পৌরসভার মো. শাহিন মন্ডলের ছেলে। তিনি কুমারখালী সরকারি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছেন।

শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এবিষয়ে পরীক্ষার্থী মো. শিপন বলেন, ‘পাঁচটি পরীক্ষা হয়ে গেলেও বুঝতে পারিনি। স্যারেরাও টের পাইনি। গত শুক্রবার রাতে টের পেয়েই স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও অন্যান্য শিক্ষকদের জানায়। শিক্ষকরা মানবিক বিভাগেই পরীক্ষা দেওয়া কথা স্পষ্ট জানিয়ে দেয়। পরে দুশ্চিন্তায় দিশেহারা হয়ে ইউএনও স্যারকে কল দিয়েছিলাম। স্যার আমার পরীক্ষার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। আমি খুব খুশি। কিন্তু সংশোধিত প্রবেশপত্র এখনও পাইনি।’

জে এন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মকছেদ আলী বলেন, ‘শিপন স্কুলে অনিয়মিত উপস্থিত হত। বিষয়টি আগে জানায়নি, আমরাও টের পাইনি। টেকনিকাল ভুলে এমন হতে পারে। ওকে নিয়ে বোর্ডে যাওয়া হবে।’

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুর রশিদ বলেন, ‘হঠাৎ জানতে পেরেছি বিজ্ঞানের ছাত্র মানবিকে পরীক্ষা দিচ্ছেন। সংশোধনের জন্য প্রধান শিক্ষক কাজ করছেন।’


বিজ্ঞাপন


উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)  বিতান কুমার মন্ডল বলেন, ‘রাত সাড়ে দশটার দিকে শিপন কান্নাজড়িত কন্ঠে তার সমস্যার কথা জানায়। তিনি বারবার বলছিলেন আমার পরীক্ষার ব্যবস্থা করবেন। একথা শুনে আমি তাকে  টেনশন না করে পদার্থবিজ্ঞানী পরীক্ষা দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়ার বলি। এবং রাতভর শিক্ষা অফিসার ও  অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক  (শিক্ষা ও আইসিটি) স্যারের মাধ্যমে পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করি।’

তিনি আরো বলেন, ‘শিপন আজ পদার্থবিজ্ঞান পরীক্ষা দিয়েছে। খুব দ্রুতই সমস্যার সমাধান হবে। এসএসসি পরীক্ষা ছাত্রজীবনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা। একটি ভাল কাজ করতে পেরে খুব আনন্দিত আমি।’

প্রতিনিধি/ একেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর