মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

বৃত্তির টাকা না পেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি, সেই শিশুর পাশে ইউএনও 

জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৮:১১ পিএম

শেয়ার করুন:

বৃত্তির টাকা না পেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি, সেই শিশুর পাশে ইউএনও 

উপবৃত্তির টাকা না পেয়ে প্রধানমন্ত্রী বরাবর চিঠি লিখেছেন রাজশাহীর শিশু জুনাইদ সিদ্দিক। সম্প্রতি তার উপবৃত্তির টাকা অন্য কেউ তুলে নেওয়ায় মন খারাপ করে প্রধানমন্ত্রীকে এই চিঠি লিখেছে শিশুটি। 

শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে এমন একটি চিঠি ফেসবুকে ভাইরাল হয়। জানতে পরে দ্রুত ওই শিশুর পরিবারের সাথে যোগাযোগ করেন রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সোহেল রানা। 


বিজ্ঞাপন


প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখা জুনাইদ সিদ্দিক রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার তেবিলা সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্র। তার বাবা পেশায় রিকশা চালক। 

চিঠিতে শিশুটি লিখেছে, ‘আমার উপবৃত্তির টাকা আমি এখনও পাইনি। বাবা বলেছিল, উপবৃত্তির টাকা পেলে স্কুল ব্যাগ আর ছাতা কিনে দিবে। কিন্তু তা আর হলো না। স্যারদের মাধ্যমে জানতে পারলাম, কেউ আমার টাকা তুলে নিয়েছে। প্রতিদিন আমাকে ছেঁড়া স্কুল ব্যাগ আর ভাঙ্গা ছাতা নিয়ে স্কুলে যেতে হয়। তাতে আমার কোনো দুঃখ নেই। এরপর যেন এমনটি না হয় এটাই দাবি।’ 

এ বিষয়ে তেবিলা সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাফির উদ্দিন বলেন, জুনাইদের বাড়ি দুর্গাপুর উপজেলার রঘুনাথপুর এলাকায়। তার সাথে আমার কথা হয়েছে। সে টাকা না পেয়ে এমনটি করেছে। আসলে তার বাবা একজন রিক্সা চালক। অর্থনৈতিক সংকটের কারণে তিনি ছেলেকে নতুন ব্যাগ আর ছাতা কিনে দিতে পারেন না। ছেলেকে বলেছিল, বৃত্তির এই টাকা দিয়ে নতুন একটি ব্যাগ ও ছাতা কিনে দিবে। কিন্তু কেউ তাদের টাকা তুলে নেওয়ায় সেটি আর হয়নি। 

দুর্গাপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোখলেসুর রহমান ঢাকা মেইলকে বলেন, বিষয়টি জানার পরপরই ইউএনও মহোদয়কে জানানো হয়। সম্ভবত অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে তার বৃত্তির টাকা প্রতারক চক্র ছিনিয়ে নিয়েছে। 


বিজ্ঞাপন


তাৎক্ষণিকভাবে ওই শিশুর পরিবারকে উপজেলায় ডাকা হয়। পরে তাকে শিক্ষা উপকরণ হিসেবে স্কুল ব্যাগ, ছাতা, খাতা, কলম পেন্সিল বক্স উপহার দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। 

দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সোহেল রানা ঢাকা মেইলকে বলেন, বিষয়টি আমার ও জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নজরে আসে। আমরা জানার পরই শিশুর পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে উপজেলায় ডাকি। পরে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে শিক্ষা উপকরণ হিসেবে স্কুল ব্যাগ, ছাতা, খাতা, কলম পেন্সিল বক্স উপহার দেওয়া হয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ তাদের সকল সময় উৎসাহিত করতে হবে। তবেই আমরা জাতির জনকের সোনার বাংলা তৈরী বিনির্মাণ করতে পারবো। শিশুটির উপবৃত্তির টাকা প্রদানের লক্ষ্যে  সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ  করা হয়েছে। 

ভবিষ্যতে আর কেউ এরকম বিড়ম্বনায় না পড়েন তার জন্য সকলকে সজাগ থাকতে হবে।  সবাই অ্যাকাউন্ট খুলতে নিজের মোবাইল নাম্বার ব্যবহারসহ অনলাইন আদান প্রদানের সময় সতর্কতা অবলম্বন করারও আহ্বান জানান তিনি। 

প্রতিনিধি/একেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর