নীলফামারীর ডোমারের চিলাহাটি রেল স্টেশনে তৌছিখা নামে এক যাত্রীর নগদ ১ লাখেরও বেশি টাকা, মার্কিন ডলার, মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত ও মোবাইল ফোনসহ পাওয়া একটি ভানিটি ব্যাগ ফিরিয়ে দিয়েছেন হারুন অর রশীদ নামের এক যাত্রী।
শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজশাহী থেকে চিলাহাটিগামী তিতুমীর এক্সপ্রেস ট্রেনে ব্যাগটি কুড়িয়ে পান তিনি। পরে ওই ট্রেনের গার্ড ফারুক আহম্মেদসহ ব্যাগটি চিলাহাটি স্টেশন মাস্টার নাজনিন বেগমের কাছে হস্তান্তর করেন। এরপর বিকেলে ৪টার দিকে যথাযথ সত্যতা যাচাই করে প্রকৃত মালিক তোছিখা বেগমের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
>> আরও পড়ুন: সংবাদ প্রকাশের পর ভোলার সেই হাঁসের ডিম পাড়া বন্ধ!
বিজ্ঞাপন
ব্যাগটি কুড়িয়ে পাওয়া ওই যাত্রী হারুন অর রশিদ চিলাহাটির স্থায়ী বাসিন্দা এবং ব্যাগটির মালিক তৌছিখা বেগম সৈয়দপুরের স্থায়ী বাসিন্দা। তিনি চিলাহাটিতে বাবার বাসায় বেড়াতে এসেছিলেন বলে জানা গেছে।
বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে স্টেশন মাস্টার নাজনিন বেগম বলেন, দুপুর আড়াইটার দিকের ঘটনা। ট্রেন ছাড়ার পূর্বমুহুর্ত। গার্ড ফারুক ভাই ও এক যাত্রী (হারুন অর রশীদ) এসে ব্যাগটি আমার কাছে দেন। পরে আমি সবার সামনেই ব্যাগটি খুলে নগদ এক লাখের উপরে টাকা, মার্কিন ডলার, মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত, একটি স্যামসাং মোবাইল ফোন ও অনান্য জিনিস কী কী ছিল তা দেখি। মোবাইল ফোনটি আমার কাছে রেখে সব আবার ব্যাগে রাখি। প্রায় ২ ঘণ্টা পরে মোবাইলে কল আসে। পরে তারা এখানে এসে নিজের হাতের ছাপ দিয়ে মোবাইলটি খুলে এবং অনান্য জিনিসের সত্যতা যাচাই করার পর তা হস্তান্তর করা হয়।
>> আরও পড়ুন: ‘মেয়ের বাপ শুনেছিল ছেলের ৩ তলা বাড়ি আছে,’ আসল ঘটনা জানুন
হারুন অর রশীদ নামের ওই যাত্রী বলেন, আমি ট্রেন থেকে নামার আগে সব কিছু দেখে নিচ্ছিলাম যে কোনো কিছু ছাড়লাম কিনা। পাশেই ব্যাগটি দেখতে পাই। পরে গার্ডকে ডাকি। উনাকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাগটি স্টেশন মাস্টারের কাছে হস্তান্তর করি। এরপর বিকেলে ব্যাগটি প্রকৃত মালিকের কাছে দেওয়া হয়েছে। ব্যাগটি না পেলে হয়ত উনাদের অনেক বেশি ক্ষতি হতো। কারণ অনেক মূল্যবান কিছু ছিল ব্যাগটিতে এবং তা ফিরিয়ে দিতে পেরে অনেক ভালো লাগছে।
তৌছিখা বেগম বলেন, ‘ব্যাগটিতে আমাদের অনেক মূল্যবান জিনিস ছিল। ডেবিট কার্ড, ডলার, রিঙ্গিত, নগদ টাকা মোবাইল সব ছিল। আমরা বেবি হওয়ার পর প্রথম এখানে আসি। সবার আনন্দ উল্লাসে ব্যাগের কথা মাথায় ছিল না। দুই ঘণ্টা পরে আমরা অনুভব করি ব্যাগ নাই। ভাবছিলাম ফিরে পাব না। তবে পৃথিবীতে এখনো যে ভালো মানুষ আছে এটা তার দৃষ্টান্ত উদাহরণ। উনাকে ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করতে চাই না। দোয়া রইল উনার প্রতি।’
বিজ্ঞাপন
প্রতিনিধি/এএ
