চলমান এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী থানায় হওয়া মামলায় আরও তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে তাদের গ্রেফতা করা হয়।
গ্রেফতার তিনজন হলেন—ভূরুঙ্গামারী নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের কৃষি বিজ্ঞানের শিক্ষক হামিদুল ইসলাম, বাংলা বিষয়ের শিক্ষক সোহেল চৌধুরী ও পিয়ন সুজন মিয়া।
বিজ্ঞাপন
দুই শিক্ষককে গতকাল সকালে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। পরে রাতে তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়। রাতেই গ্রেফতার করা হয় পিয়ন সুজনকে।
প্রশ্ন ফাঁসের মামলায় এখন পর্যন্ত ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্রসচিবসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মামলায় বুধবার প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্রসচিব লুৎফর রহমান, ইংরেজির শিক্ষক আমিনুর রহমান রাসেল এবং ইসলাম শিক্ষার শিক্ষক জোবায়ের ইসলামকে কারাগারে পাঠায় আদালত।
এজাহারভুক্ত আরেক আসামি ও স্কুলের অফিস সহকারী আবু হানিফ পলাতক।
বিজ্ঞাপন
>> আরও পড়ুন : ভূরুঙ্গামারিতে প্রশ্ন ফাঁস: ৪ পরীক্ষা স্থগিত, ৫ শিক্ষক আটক
কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার (এসপি) আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম জানান, প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় নতুন করে আরও তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ নিয়ে ছয়জনকে গ্রেফতার করা হলো।
তিনি আরও জানান, গ্রেফতার ছয়জনকে প্রয়োজনে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
এর আগে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. কামরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে চারটি পরীক্ষা স্থগিতের কথা বলা হয়েছে। তবে সেটি যে প্রশ্ন ফাঁসের কারণেই করা হয়েছে, তা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়নি।
স্থগিত করা বিষয়গুলোর মধ্যে আছে গণিত, কৃষিবিজ্ঞান, রসায়ন বিজ্ঞান ও পদার্থবিজ্ঞান।
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় চলতি এসএসসি পরীক্ষার ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে কেন্দ্রসচিবসহ তিন শিক্ষককে আটক করা হয়েছে।
দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. কামরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় আমরা একটা তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। রিপোর্ট পেলে পরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘যেসব বিষয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে, সেসব বিষয়ে কোনো সমস্যা নেই।’
প্রতিনিধি/এইচই