শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

‘জাহাজমারা সমবায় সমিতি’র টাকা আত্মসাতের অভিযোগ সভাপতির বিরুদ্ধে

জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৪:০৭ পিএম

শেয়ার করুন:

‘জাহাজমারা সমবায় সমিতি’র টাকা আত্মসাতের অভিযোগ সভাপতির বিরুদ্ধে

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় ‘জাহাজমারা সমবায় সমিতি’ নামের একটি সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে ২০০ ব্যবসায়ীর জমাকৃত ১ কোটি ৭৬ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। টাকা আত্মসাতের প্রতিবাদ ও নিজেদের সঞ্চয় ফিরে পাওয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ক্ষতিগ্রস্থরা।

শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে হাতিয়া উপজেলা পরিষদের সামনে অবস্থান নিয়ে ঘণ্টাব্যাপি মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেন তারা। প্রতিকার চেয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্থরা।
 
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া সমিতির সদস্যরা জানান, ২০১২ সালে নিজেদের আর্থিক কল্যাণের স্বার্থে প্রতিমাসে ১০ হাজার টাকা সঞ্চয় রাখার নিয়মে প্রায় ২ শ ব্যবসায়ী একটি সমবায় সমিতি চালু করেন। সমিতির সাংগঠনিক কার্যক্রমের জন্য প্রতিষ্ঠার কয়েকদিন পর তিনজন উপদেষ্ঠা নির্বাচিত করে পরিষদের সভাপতি করা হয় জাহাজমারা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবু সোলাইমানকে। নতুন কমিটি গঠন হওয়ার পর সমিতির টাকায় জেলা সদরে সমিতির নামে ৫৬০ ডিসিম জায়গা কেনা হয়।  


বিজ্ঞাপন


কিছুদিন পর থেকে নিজের খেয়াল খুশি মতো সমিতির কার্যক্রম চালানো শুরু করেন সভাপতি সোলাইমান। সদস্যদের কিছু না জানিয়ে ইতোমধ্যে তিনি সমিতির জায়গা প্রতি ডিং ৫০ হাজার টাকা ধরে বিক্রিও করে দিয়েছেন। একই সাথে সমিতির নিজস্ব ব্যাংক হিসেব থেকে ৪০ লাখ টাকাও তিনি উত্তোলন করেছেন। এসব বিষয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিদের উপস্থিতিতে শালিসী বৈঠক হলেও এখনও সমিতির হিসেব সদস্যদের বুঝিয়ে দেননি সভাপতি।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সমিতির সিনিয়র সদস্য এমরান হোসেন ও সিরাজ। এসময় প্রধান সড়কে তীব্র যানযটের সৃষ্টি হয়। পরে তারা থানায় গিয়ে ওসির কাছে এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দেন।

এদিকে অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে সমিতির সভাপতি আবু সোলাইমান বলেন, ‘জায়গা বিক্রির সবগুলো টাকা সমিতির একাউন্টে জমা রাখা হয়েছে। এছাড়া কয়েকজন সদস্য চলে যাওয়ায় তাদের হিসেব বুঝিয়ে দিতে সমিতির একাউন্ট থেকে কিছু টাকা তুলে তাদের হিসেব বন্ধ করা হয়েছে। সমিতির একাউন্টটা একটি যৌথ একাউন্ট একজনের স্বাক্ষরে ওইখান থেকে টাকা উত্তোলন সম্ভব না, যে টাকা তোলা হয়েছে সেখানে আমি ছাড়াও সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও ক্যাশিয়ারের স্বাক্ষর রয়েছে। তাছাড়াও বর্তমানে সমিতির একাউন্টে এক কোটি টাকার মত জমা আছে। ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তারা এ মানববন্ধন ও আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচারে নেমেছে।’

প্রতিনিধি/এএ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর