জলের গ্রাম অন্তেহরী। মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নে কাওয়াদীঘি হাওরের পাশেই অবস্থিত অন্তেহরী গ্রামটি। নৈসর্গিক সৌন্দর্যের এ অন্তেহরী গ্রামকে পর্যটন এলাকা ঘোষণা করে নামকরণ করা হয় ‘জলের গ্রাম অন্তেহরী’। প্রকৃতির অপরূপ রূপে সাজানো এই গ্রামের প্রতিটি বাড়ি দেখে মনে হবে জলে ভাসছে বাড়িগুলো।
হাওরের টলটলে স্বচ্ছ জল আর সবুজ অরণ্যের মাঝে দাঁড়ানো এই গ্রামটি পর্যটকদের কাছে বেশ আকর্ষণীয়। ভ্রমণপিপাসুরা এই স্থানে প্রতিদিন ভিড় করেন। বছরের প্রায় অর্ধেক সময়ই জল থাকে বলে এই গ্রাম পরিচিতি পেয়েছে ‘জলের গ্রাম নামে’। নির্মল প্রকৃতির কারণে গ্রামটি বক-পানকৌড়ি ও দেশি পাখির কলকাকলিতে মুখর। এই নৈসর্গিক সৌন্দর্যের স্বাদ আস্বাদন করতে আসেন ভ্রমণ পিপাসুরা।
বিজ্ঞাপন
কাউয়াদিঘি হাওরকে কেন্দ্র করে অন্তেহরী গ্রামে লোকবসতি গড়ে উঠে প্রায় শতবছর পূর্বে। জেলার রাজনগর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নে সবচেয়ে বড় এই জলাভূমির অবস্থান। হাওরপাড়ের এ গ্রামে বসবাস করেন প্রায় ছয় হাজার মানুষ। গ্রামটি বৈচিত্র্যপূর্ণ রূপ ধারণ করে, যখন হাওর পানিতে পরিপূর্ণ থাকে। গ্রামটির বৈশিষ্ট্য বছরের প্রায় অর্ধেকটা সময় পানির ওপর ভেসে থাকে। এরই মধ্যে এই গ্রামটি ‘সোয়াম ভিলেজ অন্তেহরী’ নামে পর্যটকদের কাছে ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছে।
কাউয়াদিঘি হাওরকে কেন্দ্র করে অন্তেহরী গ্রামে লোকবসতি গড়ে উঠে প্রায় শতবছর পূর্বে। জেলার রাজনগর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নে সবচেয়ে বড় এই জলাভূমির অবস্থান। হাওরপাড়ের এ গ্রামে বসবাস করেন প্রায় ছয় হাজার মানুষ। গ্রামটি বৈচিত্র্যপূর্ণ রূপ ধারণ করে, যখন হাওর পানিতে পরিপূর্ণ থাকে। গ্রামটির বৈশিষ্ট্য বছরের প্রায় অর্ধেকটা সময় পানির ওপর ভেসে থাকে। এরই মধ্যে এই গ্রামটি ‘সোয়াম ভিলেজ অন্তেহরী’ নামে পর্যটকদের কাছে ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছে।

হাওরপাড়ের নৈসর্গিক গ্রাম অন্তেহরীতে ঘুরতে আসা ভ্রমণপিপাসু আব্দুর রব বলেন, ‘জল আর অরণ্যের মাঝে দাঁড়ানো এই জলারবনে শুষ্ক মৌসুমে হেঁটে হেঁটে আর বর্ষার সময়ে নৌকা করে পুরো গ্রাম ঘুরে বেড়ানো যায়।’
বিজ্ঞাপন
তিনি জানান, বর্ষাকালে পুরো গ্রামই পানির ওপর ভাসমান থাকে। এক বাড়ি থেকে আরেক বাড়ির যাতায়াতের মাধ্যম শুধুই নৌকা। যেনো একেকটি বাড়ি একেকটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ। সবুজ হিজল-করচ-তমাল বনের ছায়া সুশীতল পরশ। হালকা বাতাসে ঢেউ আছড়ে পরে বিভিন্ন গাছের উপর আর বাড়ির সীমানায়। পুরো গ্রামের সুনশান নীরবতা ভেঙে পাখিদের কলতান সত্যিই মনোমুগ্ধকর।

জলের গ্রামে ঘুরতে আসা পর্যটক উর্বশী উপমা বলেন, ‘এই গ্রামের নাম অনেক শুনেছি। চারিদিকে পানি, সবুজ গাছগাছালি, পাখিদের ডাক, নির্মল বাতাস। প্রকৃতির এতো বৈচিত্র্য রুপ এক সঙ্গে দেখে আনন্দ পেয়েছি। এখানে না আসলে বুঝতাম না প্রকৃতির কি অপরুপ মহিমা এখানে লুকিয়ে আছে।’
পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করে আরও সুন্দর করে রাখলে অনেক বেশি পর্যটক আকৃষ্ট হবেন বলে জানান পরিবেশকর্মী রিপন দে। তিনি বলেন, ‘এই স্থানের প্রতি এক ধরনের অবহেলাই পরিলক্ষিত হচ্ছে। দুবছর আগে এখানে প্রচুর শাপলা-শালুক দেখা যেতো, কচুরিপানার স্তূপের কারণে এখন এগুলো নেই।’
স্থানীয়রা জানান, জেলা প্রশাসন থেকে এরই মধ্যে পর্যটন কেন্দ্র ঘোষণা দিয়ে চারটি আকর্ষণীয় নৌকা এবং একটি ঘাট নির্মাণ করা হয়েছে।

রাজনগরের ফতেহপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নকুল দাশ জানান, বস্তুত কাউয়াদিঘি হাওরকে কেন্দ্র করে এই গ্রামে লোকবসতী গড়ে উঠে। গ্রামটি বৈচিত্রপূর্ণ রূপ ধারণ করে যখন হাওর পানিতে পরিপূর্ণ থাকে। আর তখনই অন্তেহরী ভ্রমণের উপযুক্ত সময়। নৌকায় চড়ে ঘুরে বেড়ালে এই জলের গ্রামের বিচিত্র রূপ চোখে ধরা পড়বে।
উল্লেখ্য, মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসন থেকে ২০১৮ সালে অন্তেহরী গ্রামকে পর্যটন এলাকা ঘোষণা করে নামকরণ করা হয় ‘জলের গ্রাম অন্তেহরী’।
টিবি

