সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে যৌতুকের দাবিতে স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজনের নির্যাতনে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রোববার (২৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে সিলেটের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় সোমবার নিহতের স্বামী সুলতান মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ।
বিজ্ঞাপন
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, ৮ বছর আগে দোয়ারাবাজার উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের ফুলকারগাও গ্রামের মৃত আবদুল গফুরের পুত্র সুলতান মিয়ার সঙ্গে ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের বাউভোগলী গ্রামের মৃত আছদ্দর আলীর কন্যা সাজনা বেগমের বিয়ে হয়। তাদের তিন সন্তান রয়েছে।
বিয়ের পর থেকে সাজনাকে নির্যাতন করে আসছিল সাজনার স্বামীসহ তার পরিবার। যৌতুকের টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় তাদের মধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকত। সর্বশেষ গত বুধবার রাতে পিতার বাড়ি থেকে টাকা এনে দিতে গৃহবধূকে চাপ দেয় স্বামী সুলতান মিয়ে। এতে অপারগতা প্রকাশ করলে সাজনার উপর চালানো হয় নির্যাতন।
এতে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত হন ওই গৃহবধূ। ওইদিন তাকে ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য সেখান থেকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। রোববার সকালে অপারেশন শেষে উইমেন্স মেডিক্যালের আইসিইউতে রেফার্ড করা হলে রাতেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় ওই গৃহবধূর।
এদিকে মৃত্যুর খবর পেয়ে স্বামী সুলতান মিয়াকে নিহতের স্বজনরা আটক করে সিলেট কোতয়ালী থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে নিহতের ভাই আছলম আলী জানিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
দোয়ারাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবদুলাল ধর বলেন, খবর শুনে থানা থেকে উপ-পরিদর্শক মিজানুর রহমানকে হাসপাতালে পাঠিয়েছি। নিহতের স্বামীকে আটক করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রতিনিধি/এএ