বহু ঘাত-প্রতিঘাত ও বাঁধা পেরিয়ে সম্পূর্ণ দৃশ্যমান হয়েছে পদ্মা সেতু। এখন অপেক্ষা শুধু যানচলাচলের জন্য উন্মুক্ত হওয়া। সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে তৈরী বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো এ পদ্মা সেতু। এ প্রকল্পটির নামকরণ করা হয়েছে, পদ্মা বহুমুখী সেতু।
৩০ হাজার ১৯৩ দশমিক ৩৯ কোটি টাকা ব্যায়ে, দ্বিতল বিশিষ্ট এই সেতুটি কংক্রিট আর স্টিল দিয়ে নির্মিত। চারলেনের ৭২ ফুট প্রস্থ, ৪২ টি পিলারে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই সেতুর এক অংশ মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় এবং অপর অংশ শরীয়তপুরের জাজিরা ও মাদারীপুর জেলার প্রান্তে যুক্ত হয়েছে। এতে একই সঙ্গে রেল ও গাড়ি চলাচলের ব্যবস্থা রয়েছে। থাকবে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও অপটিক্যাল ফাইবার লাইন পরিবহন সুবিধাও।
বিজ্ঞাপন
এ সেতুর মধ্য দিয়ে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশের সাথে উত্তর পূর্ব অংশের সংযোগ ঘটবে। বিশেষ করে দক্ষিণ জনপদের ২১ টি জেলার সাথে সরাসরি যুক্ত হবে। এটি ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ নির্মাণ প্রকল্প।
২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটি উপর প্রথম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতুর। গত বছরের ১০ ডিসেম্বর সর্বশেষ স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে সম্পূর্ণ দৃশ্যমান হয়ে সেতুর মূল কাজটি সম্পন্ন হয়।
পদ্মা সেতুর উপসহকারী প্রকৌশলী হুমায়ুন কবীর ও নির্বাহী প্রকৌশলী (মূল সেতু) দেওয়ান আব্দুল কাদের মোবাইলে ঢাকা মেইল'কে জানান, সেতুসহ আনুষাঙ্গিক কাজ প্রায় শেষের দিকে। নির্দিষ্ট দিনক্ষণ ঠিক করা না হলেও, আগামী ৩০ শে জুনের মধ্যে যে কোনো দিন সেতুটি যানচলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।
একেবি
