পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া হাইওয়ে পুলিশের গাড়িচালক কনস্টেবল জুয়েল খন্দকারের বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণা করে প্রায় ১২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পুলিশের ওই কনস্টেবলকে বিভাগীয়ভাবে সাময়িকভাবে ক্লোজড করা হয়েছে।
রোববার (১৪ আগস্ট) ঢাকা মেইলকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তেঁতুলিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম খাঁন। অভিযুক্ত ওই কনস্টেবলকে বর্তমানে আটক রেখে তদন্ত চলছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
তদন্তের স্বার্থে বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) তেঁতুলিয়া হাইওয়ে থানা পরিদর্শন করেছেন হাইওয়ে পুলিশের রংপুর সার্কেল এসপি জাহিদ চৌধুরী।
>> আরও পড়ুন : চিকিৎসার নামে প্রতারণা: শর্ম্মা মেডিকেল হল বন্ধের নির্দেশ
জানা গেছে, উপজেলার ভজনপুর ইউনিয়নের ভদ্রেশ্বর গ্রামের নাজির নামে থানার এক পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে পুলিশে চাকরি দেওয়ার লোভ দেখান কনস্টেবল জুয়েল খন্দকার। এ জন্য নাজিরের কাছ থেকে ১১ লাখ ৯৩ হাজার টাকা ঘুষ নেন জুয়েল। এ ঘটনায় দীর্ঘদিন পার হলেও জুয়েলের কোনো সন্ধান না থাকায় থানায় বিষয়টি জানিয়ে হাইওয়ে পুলিশের বগুড়া রিজিয়নের এসপি বরাবর অভিযোগ করেন নাজির।
অভিযোগের ভিত্তিতে জুয়েলকে প্রথমে বগুড়া এসপি অফিসে ক্লোজড করার পর রংপুর সার্কেল অফিসে রাখা হয়েছে। বিষয়টির তদন্ত করতে রংপুর সার্কেল জাহিদ চৌধুরী বৃহস্পতিবার সরেজমিনে তেঁতুলিয়া হাইওয়ে থানায় এসে অভিযোগকারী ও সাক্ষীদের জবানবন্দী নিয়ে যান।
অভিযোগকারী নাজির বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে থানায় কাজ করে আসছি। জুয়েল প্রায় সময়েই আমাকে পুলিশে চাকরি নিয়ে দেবেন বলতেন। বিষয়টিতে প্রথমে তেমনভাবে কান দেইনি। পরে হঠাৎ একদিন তিনি বলেন যে তার পঞ্চগড় পুলিশ সুপারসহ ওপরের সবার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক আছে। এভবে বিভিন্ন লোভ দেখিয়ে তিনি কাগজপত্র এবং প্রথমে ৭০ হাজার টাকা নেন। পরে ধাপে ধাপে আমি তাকে ১১ লাখ ৯৩ হাজার টাকা দেই।
তিনি আরও বলেন, একসময় চাকরি হয়েছে এমন বলে ঢাকায় নিয়ে গিয়ে মাঝ রাস্তায় ফেলে পালিয়ে যান তিনি। কিন্তু পরে তার কোনো খবর না থাকায় আমি অভিযোগ করি।
ওসি জাহাঙ্গীর আলম খাঁন বলেন, প্রতারণার অভিযোগের ভিত্তিতে কনস্টেবল জুয়েলকে বগুড়া এসপি অফিসে ক্লোজড করে রংপুর সার্কেল অফিসে রাখা হয়েছে। সেখানেই তদন্ত চলছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে বিভাগীয়ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রতিনিধি/এইচই