শ্যাম বর্ণের গায়ের রং। মুখে হালকা দাড়ি। আনুমানিক ৪৪ বছর বয়সী এই ব্যক্তি ২৮ মাস ধরে রয়েছেন কারা হেফাজতে। তবে কোনো অপরাধে নয় বরং নিরাপত্তার স্বার্থে কারা হেফাজতে রাখা হয়েছে তাকে। কথা বলতে পারলেও বুঝা যায় না তার মুখের ভাষা। মাঝে মধ্যে অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন মাথা নাড়িয়ে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে— ২০১৯ সালে ঝিনাইদহের সদর উপজেলা থেকে উদ্ধার করা হয় ওই ব্যক্তিকে। পরে সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। ওই ব্যক্তিকে আদালতে হাজির করে নিরাপত্তা হেফাজতে রাখার জন্য আবেদন করা হয়। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জেলা কারাগারের নিরাপত্তা হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন আদালত। সেই থেকে এখন পর্যন্ত কারাগারেই রয়েছেন অজ্ঞাতনামা ওই ব্যক্তি।
বিজ্ঞাপন
ঝিনাইদহ জেলা প্রেসক্লাব সভাপতি মিজানুর রহমান জানান, রাষ্ট্র দ্রুত এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
>> আরও পড়ুন: ব্রিটিশ সরকারের পদক পেয়েছিলেন যশোরের সৈনিক সামছুদ্দিন
ঝিনাইদহ জেলা পিপি অ্যাডভোকেট ইসমাইল হোসেন জানান, যেহেতু বিষয়টি আমার নলেজে এসেছে। এ ব্যাপারে সবধরনের আইনি সহায়তা দেওয়া হবে। এছাড়া এই ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসও দেন অ্যাডভোকেট ইসমাইল হোসেন।
ঝিনাইদহ জেল সুপার আনোয়ার হোসেন জানান, ওই ব্যক্তি মুখে দাড়ি রয়েছে। তার ভাষা বুঝা যায় না। কথা কম বলেন। তবে মাঝে মাঝে মাথা নেড়ে অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন। মানসিক ভারসাম্যহীন কিনা তা পরীক্ষা করাতে খুলনা মেডিকেলেও নেওয়া হয়েছে। খুব শান্ত স্বভাবের হওয়ায় একা একা থাকেন।
আনোয়ার হোসেন জানান, ঝিনাইদহের অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বৈজন্ত বিশ্বাস ওই ব্যক্তির নাম-পরিচয় খুঁজে বের করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
এইউ

