মানিকগঞ্জ সিংগাইর উপজেলার পঞ্চম শ্রেণির এক ১২ বছরের শিক্ষার্থী পাশবিক নির্যাতনের শিকার। সে মা হতে যাচ্ছে। ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
রোবিবার (৭ আগস্ট) এই অভিযোগে মোহন আলীকে (৬০) কারাগারে পাঠিয়েছেন বিচারক। অভিযুক্ত মোহন আলীর বাড়ি উপজেলার খাশের চর গ্রামে।
বিজ্ঞাপন
শিক্ষার্থীর পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সিংগাইর উপজেলার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে ওই শিক্ষার্থী। চলিত বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি বিকেলে বাড়ি থেকে একটু দূরে গবাদি পশুর জন্য খাদ্য সংগ্রহ করতে যায় শিক্ষার্থী। কৌশলে ওই শিক্ষার্থীকে স্থানীয় মোহন আলী ছাঁদে নিয়ে যায়। সেখানে জোড় করে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের ঘটনা কাউকে বললে ওই শিক্ষার্থীকে মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দেয়। হত্যার হুমকি পেয়ে ওই শিক্ষার্থী বিষয়টি চেপে যায়। কিন্ত এই ঘটনার কয়েক মাস পরে মেয়েটির শারীরিক গঠনের পরিবর্তন দেখা দেয়। সে জন্য তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায় পরিবারের সদস্যরা। গত ২৮ জুলাই সাভারের একটি ক্লিনিকে ডাক্তারী পরীক্ষার পাশাপাশি আলট্রাসোনোগ্রাফি করা হয়। পরিক্ষা রিপোর্ট অনুযায়ী শিশুটি তখন ২৪ সপ্তাহ অন্তঃসত্ত্বা। পরে ওই শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনা খুলে বলে পরিবারের সদস্যদের কাছে।
শিক্ষার্থীর মা জানায়, তারা অত্যান্ত গরীব মানুষ। নিজেদের কোন জমিজমা নেই। অন্যের বাড়িতে ভাড়া থাকি। বাড়িতে বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করি। স্বামী অন্যের জমিতে কৃষি কাজ করেন। তিন সন্তানের মধ্যে ওই মেয়েটি সবার ছোট। অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি জানা জানি হওয়ার পর মোহন আলীর বোন ছকিনা ২ হাজার টাকা দিয়ে মেয়ের গর্ভের সন্তান নষ্ট করার কথা বলেছিল। কিন্তু আমরা তাতে রাজি হয়নি। পরে স্থানীয় লোকজনের পরামর্শে শনিবার রাতে সিংগাইর থানায় মামলা করি।
সিংগাইর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সফিকুল ইসলাম মোল্যা জানান, ওই শিক্ষার্থীর মা সিংগাইর থানায় মামলা করে। শনিবার দিনগত রাতে অভিযুক্ত মোহন আলীকে গ্রেফতার করি। রোববার তাকে আদালতে পাঠানো হয়। বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। সেই সাথে ওই শিক্ষার্থী ২২ ধারায় ম্যাজিষ্ট্রেটের কাছে জবানবন্দি দিয়েছে বলে জানান।
এজে