মানিকগঞ্জে হেলথ কেয়ার মেডিকেল সেন্টারের অপারেশন থিয়েটারে নবজাতক শিশুকে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (৬ আগস্ট) সকালে জেলার দৌলতপুর উপজেলার বৃষ্টিপুর এলাকার মো. সাইফুল ইসলাম নামে এক ভুক্তভোগী এই অভিযোগ করেন।
বিজ্ঞাপন
সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রউফ সরকার বিষয়টি জানিয়েছেন।
ভুক্তভোগী মো. সাইফুল ইসলাম জানান, সদর উপজেলার ওয়ারলেছ গেইট এলাকায় হেলথ কেয়ার মেডিকেল সেন্টারে তার স্ত্রীকে সিজার করার জন্য ভর্তি করানো হয়। সিজার করার জন্য জন্য ১৫ হাজার টাকা চুক্তি করে ভর্তি করেন তিনি। পরে হাসপাতালের লোকজন তার স্ত্রীকে অপরেশন থিয়েটারে নিয়ে যায়। মেডিকেল সেন্টরে ডাক্তার নাই এই কথা শুনে তিনি অপারেশনের জন্য বাধা দেন। কিন্তু হাসপাতালের লোকজন কথা না শুনে তার স্ত্রীকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যায়। সেখানে তার স্ত্রীকে সিজার না করে পলি বেগম নামের নার্স নরমাল ডেলিভারি করতে গিয়ে আমার বাচ্চাকে মেরে ফেলে। এরপর তারা ৩০ হাজার টাকা কাউন্টারে জমা দিতে বলেন। টাকা জমা না দিলে বাচ্চাকে বাঁচানো সম্ভব নয় বলে জানায়। টাকা না দেওয়ায় তারা বাচ্চাকে মৃত অবস্থায় মুন্নু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। সেখানে নেওয়ার পর ইমারজেন্সী বিভাগের ডাক্তার বাচ্চাকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটার (ওটি) ইনচার্জ মো. মনির হোসেন বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালে ওই সময় সিজার করার জন্য কোনো ডাক্তার ছিল না। তবে এই বিষয়ে অভিজ্ঞ ডাক্তার ছিল। কিন্তু তিনি সিজার করেন না। কিন্তু সিজারে করা ডাক্তার নাই।’ তাহলে কেন অপারেশন থিয়েটারে রোগীকে নেওয়া হল, এমন প্রশ্নের কোনো উত্তর তিনি দিতে পারেন নাই।
হাসপাতালের জেনারেল ম্যানেজার হাবিবুর রহমান জানান, জন্মের পরে বাচ্চাটার সমস্যা দেখা দিয়েছিল। আমাদের এখানে শিশু ওয়ার্ড নাই। সে কারণে মুন্নু মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।
বিজ্ঞাপন
ওসি আব্দুর রউফ সরকার জানান, এই বিষয়ে সন্ধ্যার দিকে মো. সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে একটা অভিযোগ করেছেন। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
টিবি