বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

প্রধান শিক্ষকের পিটুনিতে শিক্ষার্থী হাসপাতালে

জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৬ আগস্ট ২০২২, ০৭:২৮ পিএম

শেয়ার করুন:

প্রধান শিক্ষকের পিটুনিতে শিক্ষার্থী হাসপাতালে

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে শ্রেণিকক্ষে বিদ্যুতের সুইচ বোর্ড ভেঙে ফেলার অপরাধে প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) এক শিক্ষার্থীকে বেধড়কভাবে পিটিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার (৬ আগস্ট) মামুন মিয়া নামের ওই শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দেখা গেছে। আহত মামুন উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের চাচিয়া মীরগঞ্জ গ্রামের আব্দুল মান্নান মিয়ার ছেলে ও পুটিমারী উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী।


বিজ্ঞাপন


জানা যায়, সুইচ বোর্ডটি কয়েকদিন আগে মামুন মিয়া এবং তার বন্ধুরা ভেঙে ফেলে। বিষয়টি জানতে পেরে শ্রেণি শিক্ষক তাকে শাসন করেন। পরে বিষয়টি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নুরুল আমিন সরকার জানতে পেরে মামুনকে তার নিজ রুমে ডেকে বাঁশের কঞ্চি দিয়ে বেধড়ক পিটুনি দেয়। এতে তার শরীরের বিভিন্ন যায়গা ফুলে যায়। পরে তার স্বজনর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়।

মামুন মিয়া বলেন, ‘বৃহস্পতিবার ক্লাস শেষে কয়েকজন বন্ধু মিলে ক্লাসরুমেই আড্ডা দিচ্ছিলাম। এমন সময় এক বন্ধু আমাকে ধাক্কা দেয়। আমি ধাক্কা সামলে উঠতে না পেরে সুইচ বোর্ডে লাগানো দেয়ালে পড়ে যাই। এসময় সুইচ বোর্ডটির কিছু অংশ ভেঙে যায়। পরে বিষয়টি প্রধান শিক্ষক স্যার জানতে পেরে আমাকে তার রুমে ডেকে নিয়ে দরজার পর্দা নামিয়ে কঞ্চি দিয়ে পেটায়। এসময় আমার গলাও চেপে ধরেছিলেন তিনি।’

>>আরও পড়ুন: রংপুরে রেলওয়ের নিয়োগ পরীক্ষায় ডিভাইসসহ গ্রেফতার ১

আহত শিক্ষার্থীর মা আজেকা বেগম বলেন, ‘স্কুলের পিয়নকে দিয়ে হেড স্যার আমাকে ডেকে নেন এবং বলেন আপনার ছেলে দুষ্টমি করেছে। বাসায় শাসন করবেন। ছেলেকে না দেখিয়ে আমাকে স্কুল থেকে বের করে দেওয়া হয়। পরে স্কুল ছুটি শেষে ছেলে বাড়িতে আসলে দেখি তাকে মারধর করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ছোট বাচ্চা ভুল করতেই পারে। এভাবে মারধর করবে প্রধান স্যার তা কোনোদিন ভাবিনি।’


বিজ্ঞাপন


বিদ্যালয়টির সহকারী শিক্ষক শামছুল হক বলেন, ‘ক্লাসরুমের সুইচবোর্ড ভেঙে ফেলার বিষয়ে শিক্ষার্থীদের জিজ্ঞাসাবাদ করি। তারা কেউ স্বীকার করছিল না। পরে হেড স্যারের শরণাপন্ন হই। তখন তিনি ক্লাসরুমে এসে আবারও জিজ্ঞাসাবাদ করলে এক ছাত্রী সুইচবোর্ড ভেঙে ফেলার বিষয়ে মামুনের নাম উল্লেখ করে। তখন প্রধান শিক্ষক মামুনকে তার রুমে নিয়ে যায়। পরে কী হয়, তা আমি জানি না।’

এ বিষয়ে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি গোলাম রব্বানী বলেন, ‘ পারিবারিক সমস্যার কারণে খোঁজ নিতে পারিনি। তবে শুনেছি কারেন্টের সুইচবোর্ড ভেঙ্গে ফেলার কারণে বাচ্চাটিকে মারধর করেছে প্রধান শিক্ষক।’

এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) নুরুল আমিন সরকারের সঙ্গে যোগোযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

সুন্দরগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাহমুদ হোসেন মন্ডল বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

প্রতিনিধি/এএ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর