শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ঢাকা

প্রেমিকাকে দেখতে বরিশাল এসে ‘মারধরের শিকার’ তামিলনাড়ুর ড্যান্সার

জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৪ আগস্ট ২০২২, ০১:৩৭ পিএম

শেয়ার করুন:

প্রেমিকাকে দেখতে বরিশাল এসে ‘মারধরের শিকার’ তামিলনাড়ুর ড্যান্সার
ছবি : সংগৃহীত

ভারতের তামিলনাড়ু থেকে বাংলাদেশের এসে পথে প্রান্তরে প্রেমিকাকে খুঁজে বেড়ালেন এক ড্যান্সার যুবক। এমনকি মারধরের শিকার হয়েছেন বলেও জানা গেছে। থাকতে হয়েছে বরিশালে এয়ারপোর্ট পুলিশের কাছেও।

জানা গেছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই যুবকের ড্যান্স দেখেই মুগ্ধ হয়ে প্রেমে মজে যায় বাংলাদেশের বরগুনার তালতলি উপজেলার এক কিশোরী। প্রেমকান্ত নামের ওই ড্যান্সারের ভিডিওতে লাইক, কমেন্ট করতে থাকে সেই কিশোরী। একপর্যায়ে ফেসবুকে পরিচয়। ভাবের আদান-প্রদান। এরপর ৩ বছর জমিয়ে প্রেম। 


বিজ্ঞাপন


প্রেমকান্তের দাবি, শুধু ওই মেয়ের সঙ্গেই নয়, সুসম্পর্ক হয়েছে দু-পরিবারের মাঝেও।

মনস্থির করে ভালোবাসার মানুষটিকে সরাসরি এক নজর দেখার। ছুটেও আসেন বরিশাল শহরে, সেই ভারতের সুদূর তামিলনাড়ু থেকে। দেখাও মেলে প্রেমিকার। কিন্তু এরপরই শুরু হয় প্রেমকান্তের প্রেমের করুণ পরিণতি।

>> আরও পড়ুন: নোয়াখালীতে ৭ মাসে ৩০ ধর্ষণ, ধর্ষণের পর হত্যা ৭

নেটওয়ার্কিং ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করা প্রেমকান্ত বাংলাদেশ আসলে গত ২৪ জুলাই বরিশালের একটি রেস্টুরেন্টে দুজনের দেখা হয়। দেখা হওয়ার একদিন পর প্রেমকান্ত জানতে পারেন, তার অজান্তেই চয়ন হালদার নামের এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক আছে তার প্রেমিকার। হঠাৎই প্রেমিকা ও তার পরিবার বন্ধ করে দেয় যোগাযোগ। শেষমেশ প্রেমিকার নতুন প্রেমিকের হাতে মারও খায় প্রেমকান্ত।

ওই যুবকের অভিযোগ, তার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয় টাকাপয়সাও। 


বিজ্ঞাপন


এত সবের পরও প্রেমকান্তের বিশ্বাস দেখা হলে হয়তো আবারও তার জীবনে ফিরে আসবে তার প্রেমিকা।
 
নিজ দেশ ভারতের তামিলনাড়ুতে ফিরে যাবার আগে প্রেমকান্ত তার প্রেমিকার দেখা পেতে চান। বরিশালের পুলিশ এবং সাংবাদিকদের দ্বারস্থ হন তিনি। 

প্রেমকান্ত জানান, একনজর দেখার জন্য সুদূর ভারতের তামিলনাড়ু থেকে বাংলাদেশের বরিশাল শহরে আসেন। তিনি জানতেন, বরিশালের একটি কলেজে ওই তরুণী পড়াশোনা করেন। বরিশালে আসার পর দেখাও মেলে ওই তরুণীর সঙ্গে, আর এরপরই প্রেমকান্তের প্রেম নতুন এক দিকে মোড় নেয়।

>> আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরের মরিয়ম আফিজা মেট্রোরেলের প্রথম নারী চালক

প্রেমকান্ত জানান, ২০১৯ সালে ফেসবুকে তাদের পরিচয়, এরপর ধীরে ধীরে সম্পর্ক আরও গভীর হয়।

এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কমলেশ চন্দ্র হালদার গণমাধ্যমকে বলেন, ওই যুবক বৈধভাবে বাংলাদেশে আসে। তাকে নিরাপত্তার স্বার্থে থানায় আনা হলে তিনি পুরো ঘটনা খুলে বলেন। পরে ভারতীয় হাইকমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করে ওই যুবককে গত পরশু দিন সকালে ঢাকার গাড়িতে তুলে দেওয়া হয়। তিনি সেখান থেকে নিজ দায়িত্বে বিমানযোগে ভারতে চলে যাওয়ার কথা।  

তিনি বলেন, যার সঙ্গে ওই যুবক তার সম্পর্কের কথা বলছে, তিনি অপ্রাপ্ত হওয়ায় বিষয়টি হাইকমিশনের কর্মকর্তারা ওই ছেলেকে বাংলাদেশের আইন সম্পর্কে অবহিত করে বোঝান। এরপর তাকে ভারতে চলে যাওয়ার জন্য বলেন, ছেলেটিও ভারতে চলে যেতে আগ্রহ প্রকাশ করলে গাড়িতে তুলে দেওয়া হয়।

প্রতিনিধি/এএ/এইচই

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর