‘বৃক্ষপ্রাণে প্রকৃতি-প্রতিবেশ, আগামী প্রজন্মের টেকসই বাংলাদেশ’—এ স্লোগানে গত ১৮ জুলাই নোয়াখালী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনের ঈদগাহ্ ময়দানে বৃক্ষমেলার উদ্বোধন করা হয়। ১৫দিন ব্যাপী চলা এ মেলায় বিভিন্ন প্রজাতের প্রায় ১৮ হাজার ফলদ, ভেষজ ও বনজ গাছের চারা বিক্রি হয়েছে। যার বাজার মূল্য দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৫ লাখ টাকা। এ মেলা বৃক্ষরোপণ অভিযান, সমাপনী অনুষ্ঠান, পুরষ্কার বিতরণ ও সামাজিক বনায়নের উপকার ভোগীদের মাছে লভ্যাংশের চেক বিতরণের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে।
বুধবার (৩ আগস্ট) সকালে মেলার সমাপনী উপলক্ষে জেলার প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জেলা প্রশাসন ও উপকূলীয় বন বিভাগ নোয়াখালী যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
বিজ্ঞাপন
বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ১৫ দিনের মেলায় ২২টি স্টল ছিল। ২২টি স্টলে দেশি-বিদেশি ফলদ, বনজ ও ভেষজ চারা ক্রেতাদের বেশ আকর্ষণ করে। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জমজমাট ছিল মেলা প্রাঙ্গণ। যার ফলস্বরূপ সবগুলো স্টলে প্রায় ১৮ হাজার চারা বিক্রি হয়েছে। মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মেলায় অংশ নেওয়া ৩টি নার্সারীকে শ্রেষ্ঠত্বের পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে গুরু দয়াল নার্সারি প্রথম, সালমা নার্সারি দ্বিতীয় এবং ফারুক নার্সারি (দত্তের হাট) তৃতীয় পুরস্কার লাভ করেন।
অনুষ্ঠানে নোয়াখালী রেঞ্জের ও কবিরহাট এসএফপিসির ৭১ জন উপকারভোগীর মাঝে লভ্যাংশের চেক বিতরণ করা হয়। নোয়াখালী রেঞ্জের ২০ জন উপকারভোগী প্রত্যেকে ৩৩হাজার ২৩৭ টাকা ও ৩৫ জন উপকারভোগী ১৮ হাজার ৪৬৬ টাকা করে এবং কবিরহাট এসএফপিসির ১৬জন উপকারভোগী ১১হাজার ১২ টাকার চেক বিতরণ করা হয়।
উপকূলীয় বন বিভাগ নোয়াখালীর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. ফরিদ মিঞার সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইসরাত সাদমীন।
রেঞ্জ কর্মকর্তা নাহিদ হাসানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ অ্যান্ড অপস) মো. মোর্তাহীন বিল্লাহ্। এছাড়া বক্তব্য দেন নোয়াখালীর সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) কাজী তারিকুর রহমান, সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা এএসএম মহিউদ্দিন চৌধুরী, নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি বখতিয়ার শিকদার, নার্সারী মালিক গিয়াস উদ্দিন এবং বিভিন্ন রেঞ্জ থেকে আগত রেঞ্জ অফিসার ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ প্রমুখ।
বিজ্ঞাপন
প্রতিনিধি/এইচই
