গাজীপুরে চুরির দায়ে যুবককে মারধর করার সময় ভিডিও করায় আরেক যুবককে মারধরের অভিযোগ ওঠা সেই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্যকে আটক করা হয়েছে। মারধরের ভাইরাল হওয়া ভিডিও দেখে গতকাল মঙ্গলবার (২ আগস্ট) রাতে সেই ইউপি সদস্যকে আটক করে জয়দেবপুর থানার পুলিশ।
ওই ইউপি সদস্যের নাম রাশেদুল হক। তিনি গাজীপুর সদর উপজেলার ভাওয়াল মির্জাপুর ইউপির ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য।
বিজ্ঞাপন
এর আগে, গত শুক্রবার বিকেল চারটার দিকে সদর উপজেলার ভাওয়াল মির্জাপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বিকেবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সোমবার (১ আগস্ট) থেকে সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
২৩ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, পিটুনি খেয়ে এক যুবক মাটিতে বসে পড়েছেন। সেই অবস্থাতেও ইউপি সদস্য লাঠি দিয়ে তাকে পেটাচ্ছেন আর অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছেন। ইউপি সদস্য বারবার তাকে বলছেন, ‘ভিডিও করলি কেন?’ ওই ভিডিওতে ঘটনাস্থলে অনেককে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। তবে কেউ ইউপি সদস্যকে থামানোর চেষ্টা করেননি।
সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে গতকাল ঢাকা মেইলে ‘ভিডিও করলি কেন?’ বলে যুবককে পেটালেন ইউপি সদস্য শিরোনাম সংবাদ প্রকাশিত হয়। রাতে ওই ইউপি সদস্যকে আটক করে পুলিশ।
বিকেবাড়ি ও আশপাশের এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইউপি সদস্য রাশেদুল হক ছোটখাটো নানা বিষয়ে যখন যাকে খুশি মারধর করে থাকেন। বিচার-সালিসের নাম করে মানুষ পেটান।
বিজ্ঞাপন
রাশেদুল হক গতকাল বলেছিলেন, ‘আমি একটা চোরের বিচার করছিলাম। এ পর্যন্ত সাতবার চুরি করেছে। আমার কাছে ধরাও পড়েছে। তাকে পিটিয়ে শাস্তি দেওয়ার সময় পাশ থেকে ওই ছেলে ভিডিও করছিল। এ কারণে তাকেও পেটানো হয়েছে।’
ভাওয়াল মির্জাপুর ইউপির চেয়ারম্যান ফজলুল হক মুসল্লী বলেন, ‘ইউপি সদস্য বিচারের নামে কাউকে মারধর করতে পারেন না। কারও বিচার আমরা না করতে পারলে প্রয়োজনে তাকে আইনের হাতে তুলে দেব।’
জয়দেবপুর থানার উপরিদর্শক (এসআই) রাখাল দেবনাথ ইউপি সদস্য রাশেদুল হককে আটকের খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, রাশেদুল হকের বিরুদ্ধে মামলা হবে। গতকাল নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিদের সঙ্গেও পুলিশ কথা বলেছে।
ইউপি সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে কি না, তা জানতে চাইলে এসআই বলেন, ‘কোনো অবস্থাতেই তিনি ছাড় পাবেন না। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।’
প্রতিনিধি/এইচই
