বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

দুমকিতে কলেজের অধ্যক্ষ ও নারী শিক্ষকের ফোনালাপ ফাঁস

জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০২ আগস্ট ২০২২, ০৩:৩২ পিএম

শেয়ার করুন:

দুমকিতে কলেজের অধ্যক্ষ ও নারী শিক্ষকের ফোনালাপ ফাঁস

পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার একটি কলেজের নারী শিক্ষকের সঙ্গে অধ্যক্ষের ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় শুরু হয়েছে ব্যাপক সমালোচনা।

জানা গেছে, উপজেলার মুরাদিয়া আজিজ আহম্মেদ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ও নারী শিক্ষকের ৯ মিনিট ১৬ সেকেন্ডের একটি কল রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। ভাইরাল ওই কল রেকর্ডটিতে শোনা যায়, অধ্যক্ষ আহসানুল হক তার ওই নারী সহকর্মীকে (একই কলেজের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক) ক্ষিপ্ত কণ্ঠে বলছেন, ‘আমার বাসায় গিয়ে আমার সঙ্গে যা করেছ, সেগুলো কি ভিডিও করে সবাইরে দেখাইছ? আর এখন বাইরে সব বলে বেড়াচ্ছ। তোরে আমি অনেক সুযোগ দিছি। তোকে আমি অনেক কিছু দিয়েছি। তুই এখন আর আমার ফোন ধরিস না। এখন তোর অনেক মানুষ হইছে। তুই আর কখনো আমার সামনে আসবি না। আসলে তোর খবর আছে। আর আমি চাইলে তুই এতদিন কলেজে থাকতে পারতি না, তবে তুই কেমনে কলেজে থাকিস তাও আমি দেখে নেব।’ এসময় ওই নারী শিক্ষকের চরিত্র নিয়েও কথা বলতে শোনা যায় তাকে।

>> আরও পড়ুন:  নেশা করা নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার পর খেলেন পোকা মারার ট্যাবলেট


বিজ্ঞাপন


এ নিয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত কলেজ অধ্যক্ষ আহসানুল হক বলেন, ‘একটি মহল আমার বিরুদ্ধে এগুলো তৈরি করছে। এটি প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। বিরোধী একটি চক্র সামাজিকভাবে আমাকে (অধ্যক্ষ) হেয় করতে অডিও রেকর্ডটি ছড়াচ্ছে। ভাইরাল হওয়া কল রেকর্ডের পুরুষ কণ্ঠটি আপনার কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি আমার কণ্ঠ নয়, কলেজের কিছু দুষ্ট চক্র আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে এটি তৈরি করে ইন্টারনেটে ছড়িয়েছে।’

কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুল মান্নান বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না। আর এ নিয়ে কেউ আমাদের কাছে অভিযোগও করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। 

এ বিষয়ে জানতে মঙ্গলবার আজিজ আহম্মেদ ডিগ্রি কলেজ গেলে ওই শিক্ষিকাকে পাওয়া যায়নি। এছাড়া তার এবং তার পরিবারের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর বন্ধ রয়েছে। তবে শিক্ষিকার স্বামী কল রেকর্ডের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আহসানুল হকের দ্বারা আমি অনেক ক্ষতিগ্রস্ত। তার কুপরামর্শে আমার সংসার ভাঙার উপক্রম হয়েছে। অধ্যক্ষের অনৈতিক চাপ ও নানা প্রলোভনে শিলা আমার বিরুদ্ধে যৌতুকের মামলা দিয়ে দূরত্বের সৃষ্টি করেছে।

দুমকি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল ইমরান বলেন, কল রেকর্ডের বিষয়টি আমি শুনেছি। ওই কলেজের বিষয়ে বর্তমানে তদন্ত চলছে। তদন্ত রিপোর্টে বিষয়টি উল্লেখ করা হবে।


বিজ্ঞাপন


প্রতিনিধি/এএ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর