বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

শরণখোলায় অনাবৃষ্টিতে আমন চাষ ব্যাহত

জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০১ আগস্ট ২০২২, ০৬:১৬ পিএম

শেয়ার করুন:

শরণখোলায় অনাবৃষ্টিতে আমন চাষ ব্যাহত
ছবি: ঢাকা মেইল

বাগেরহাটের শরণখোলায় অনাবৃষ্টির কারণে শুকিয়ে গেছে আমনের বীজতলা। আমন ধান রোপণের মৌসুমে অধিকাংশ বীজতলা শুকিয়ে যাওয়ার ফলে চাষ করতে পারছেন না কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলাটিতে ৯ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে এবছর আমন চাষ হওয়ার কথা রয়েছে। উপজেলার চারটি ইউনয়নের (সাউথখালী, ধানসাগর, রায়েন্দা, খোন্তাকাটা) বিভিন্ন মাঠে দেখা যায় পানির অভাবে আমনের বীজতলা শুকিয়ে বিবর্ণ হয়ে গেছে। তীব্র তাবদাহে অনেক জায়গায় মাঠ ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। এছাড়া স্লুইজ গেটের মাধ্যমে পর্যাপ্ত পানি না পাওয়ায় চাষাবাদ নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা।  


বিজ্ঞাপন


উপজেলার রায়েন্দা এলাকার চাষী সগির শেখ বলেন, চাষাবাদের উপরে আমাদের জীবিকা চলে। কিন্তু চাষ-ই যদি করতে না পারি তাহলে চলব কিভাবে, বলে হতাশা প্রকাশ করেন তিনি।

সাউথখালী এলাকার মান্নান হাওলাদার বলেন, এ বছর বৃষ্টি কম হওয়ায় আমনের অধিকাংশ বীজতলা শুকিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। মৌসুমীর শুরুতে ধান রোপনের সময় এটা আমাদের জন্য অনেক বড় ক্ষতি।

ধানসাগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাইনুল ইসলাম টিপু বলেন, চলতি বছর বৃষ্টি কম হওয়ায় ইউনিয়নের কৃষকদের চাষাবাদে অসুবিধা হচ্ছে। বৃষ্টি না হলে, বা পানির বিকল্প ব্যবস্থা করতে না পারলে কৃষকদের না খেয়ে থাকতে হবে বলে জানান তিনি।  

রায়েন্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজমল হোসেন মুক্তা বলেন, , অনাবৃষ্টিতে কৃষকদের তৈরি বীজতলাও শুকিয়ে গেছে। অনেকে আবার বীজতলা তৈরিই করতে পারেনি।


বিজ্ঞাপন


শরণখোলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দেবব্রত সরকার বলেন, এই উপজেলায় কৃষকদের নিজস্ব কোন সেচ ব্যবস্থা নেই। এছাড়া মাটিতে লবণাক্ততা বেশি। তাই বৃষ্টির উপর নির্ভর করা ছাড়া কৃষকদের তেমন বিকল্প পানির ব্যবস্থা নেই। তবে অনাবৃষ্টির বিষয়টি মাথায় রেখে কৃষকদের রবিশষ্য সরিষা অথবা স্বল্প জীবনকালের ধান চাষের আগ্রহ সৃষ্টিতে চেষ্টা করা হচ্ছে।

এজে

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর